দু’বার চ্যাম্পিয়ন এবং তিন বার প্লেঅফে উঠে কলকাতা নাইট রাইডার্স আইপিএলের সবচেয়ে সফল দলগুলির মধ্যে অন্যতম। তবে আইপিএলের শুরুটা একেবারেই ভাল হয়নি নাইটদের। প্রথম সংস্করণের প্রথম দু’টি ম্যাচ জিতে শুরু করলেও তারপর আর তেমন ভাবে খেলতে পারেনি কেকেআর। শেষ করেছিল ষষ্ঠ স্থানে। প্রথম ম্যাচে বেঙ্গালুরুকে উড়িয়ে দেওয়া সেই দলের কোনও ক্রিকেটারই আর নাইট দলে নেই। দেখে নেওয়া যাক সেই দলের ক্রিকেটাররা এখন কোথায়।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়: প্রথম আইপিএলে নাইটদের নেতা ছিলেন সৌরভ। ওই আইপিএলের সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রহকারীও ছিলেন তিনি। বর্তমানে তিনি সিএবির সভাপতি।
ব্রেন্ডন ম্যাকালাম: প্রথম আইপিএলের প্রথম ম্যাচে একেবারে ঝড় তুলেছিলেন ম্যাকালাম। ৭৩ বলে ১৫৮ রান করেছিলেন তিনি। এ বছর আরসিবি-র হয়ে খেলবেন তিনি।
রিকি পন্টিং: প্রথম ম্যাচে ২০ বলে ২০ রান করেছিলেন প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক। পরে খেলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সেও। চলতি বছর দিল্লির কোচ তিনি।
ডেভিড হাসি: আইপিএলের প্রথম ম্যাচে ১২ বলে ১২ রান করেছিলেন এই অস্ট্রেলীয়। কেকেআর ছাড়াও পঞ্জাব, চেন্নাইয়ের হয়েও খেলেছেন হাসি। এ বারের আইপিএলে দল না পেলেও বিগ ব্যাশ খেলছেন তিনি।
মহম্মদ হাফিজ: আইপিএলে পাক ক্রিকেটাররা ব্যান হওয়ায় একটি মাত্র মরসুমেই খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন হাফিজ। বর্তমানে পাকিস্তান জাতীয় দলের সদস্য হাফিজ বিভিন্ন টি২০ লিগ খেলেন।
লক্ষ্মীরতন শুক্ল: নাইটদের হয়ে প্রথম ছয় বছর খেলা বাংলার এই অলরাউন্ডার খেলেছেন দিল্লি এবং হায়দরাবাদের হয়েও। বর্তমানে তিনি তৃণমূলের বিধায়ক এবং রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী।
ঋদ্ধিমান সাহা: ২০০৮-১০ নাইটদের হয়ে উইকেটের পিছনে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। পরবর্তীতে ২০১১-১৩ পর্যন্ত চেন্নাই সুপার কিঙ্গস এবং ২০১৪-১৭ কিঙ্গস ইলেভেন পঞ্জাবের সদস্য ছিলেন। এ বছর ঋদ্ধিকে কিনেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
অজিত আগরকর: নাইটদের হয়ে ২০০৮ সালের আইপিএল মোটেই ভাল ছিল না অজিতের। ৯টি ম্যাচে মাত্র ৮টি উইকেট পেয়েছিলেন। পরবর্তীতে ২০১১-১৩ দিল্লি ডেয়ারডেভিলস হয়ে মাঠে নেমেছিলেন। এখন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করছেন।
ইশান্ত শর্মা: ২০০৮-এ আইপিএল-এ প্রথম ম্যাচ ছাড়া আর তেমন সুবিধা করতে পারেননি। ৭টি ম্যাচে ১৩ উইকেট পেয়েছিলেন। এখন পর্যন্ত পাঁচটি দলের হয়ে আইপিএল-এ হাত ঘুরিয়েছেন ইশান্ত। যদিও এ বারের নিলামে তিনি দল পাননি।
মুরলি কার্তিক: প্রথম আইপিএল-এ মাত্র ৬টি ম্যাচে সুযোগ পেয়েছিলেন। তেমন কিছু দাগ কাটতে পারেননি। পরবর্তীতে পুণে ওয়ারিয়র্স, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু, কিঙ্গস ইলেভেন পঞ্জাবের হয়েও মাঠে নামতে দেখা গিয়েছে। বর্তমানে ক্রিকেট ভাষ্যকার হিসেবে কাজ করছেন।
অশোক দিন্দা: প্রথম আইপিএল-এ নাইটদের অন্যতম প্রধান পেস বোলার ছিলেন অশোক দিন্দা। প্রথম বার ১৩ ম্যাচে ৮ উইকেট পেয়েছিলেন। এখনও পর্যন্ত পাঁচ পৃথক দলের জার্সি গায়ে চাপিয়েছেন। যদিও এ বারের আইপিএল-এ কোনও দলেই নেই অশোক।