ববি চার্লটনের রেকর্ড ভাঙার গোল করে রুনি। ছবি: এএফপি।
বাংলার ফুটবলপ্রেমীদের কাছে প্রাক পূজা উপহার যদি হয় পেলের আগমন, তা হলে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাতে শহরে আসতে পারেন ইংরেজ ফুটবল তারকা ওয়েন রুনি।
সব কিছু ঠিকঠাক চললে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে শহরে দেখা যেতে পারে ইংলিশ ফুটবলের এই মহাতারকাকে, যিনি মঙ্গলবারই দেশের জার্সি গায়ে গোলের হাফ সেঞ্চুরি করে ইংল্যান্ড ফুটবলে গড়লেন এক নতুন নজির।
অক্টোবর-নভেম্বর জুড়ে সারা দেশে যে ফুটবল মহোৎসব হতে চলেছে, সেই আইএসএলের প্রচারেই ভারতে আসার কথা রুনির। প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী, একাধিক শহরে তাঁকে নিয়ে যাবে আইএমজি-রিলায়্যান্স, যারা এই লিগের প্রধান উদ্যোক্তা। উদ্দেশ্য, আইএসএলের প্রচার। সেই তালিকায় কলকাতাও রয়েছে বলে জানা গেল। প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী ১২ নভেম্বর আটলেটিকো দে কলকাতার শহরে রুনির আগমন ঘটতে পারে বলে আইএমজি সূত্রের খবর। তবে সেই তারিখে বদল ঘটার একটা সম্ভাবনা আছে। কারণ, রুনির এই ঝটিকা ভারত সফরের জন্য প্রয়োজন তাঁর ক্লাব ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড ও এফএ-র অনুমতি। তা না পাওয়া পর্যন্ত রুনির সফর নিয়ে সরকারি ভাবে কোনও কথাই বলতে রাজি নন আইএমজি-র কর্তারা।
কিন্তু আইএসএলের মাঝখানে কেন রুনিকে দিয়ে প্রচার? কেন শুরুতে তাঁকে নিয়ে আসার চেষ্টা হচ্ছে না? আসলে নভেম্বরের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সপ্তাহে প্রিমিয়ার লিগে ম্যান ইউয়ের কোনও খেলা নেই। ৭ নভেম্বরের পর ফের ২১ নভেম্বর তাদের খেলা। তাই ওই সময়টুকু ছাড়া রুনিকে পাওয়া যাবে না। ১৩ নভেম্বর স্পেন-ইংল্যান্ড একটি ম্যাচ থাকলেও সেটি ফ্রেন্ডলি ম্যাচ বলে তাতে রুনির খেলাটা হয়তো বাধ্যতামূলক নয়। এফএ-র সঙ্গে এই নিয়েই কথাবার্তা চলছে বলে জানা গিয়েছে। রুনিকে ভারতে আনার এটাই সেরা সময় বলে কর্তাদের কারও কারও ধারণা। তাই অনুমতি পেয়ে গেলে রুনিকে ভারতে আনার পথে আর কোনও বাধা থাকবে না বলেই মনে করছেন সংগঠকরা।
যাদের ঘরের মাঠে রুনির আসার কথা, সেই এটিকে-র অন্যতম কর্ণধার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে এই ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘‘রুনিকে আনার পরিকল্পনার কথা শুনেছি। তবে এর বেশি কিছু জানি না। এলে তো ভালই। পেলের পর কলকাতার মানুষ আরও এক ফুটবল কিংবদন্তিকে দেখতে পাবে। আইএসএল আরও জমে যাবে।’’
রুনির যে সময় শহরে আসার কথা, সে সময় অবশ্য এটিকে-র কোনও ম্যাচ নেই শহরে। তাতে কী? শুধু রুনিতেই মজবে শহর।
হাফসেঞ্চুরির রেকর্ড
ইউরোর যোগ্যতা অর্জন আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। মঙ্গলবার ইংল্যান্ডের ২-০ গোলে সুইৎজারল্যান্ডকে হারানোর ম্যাচে জাতীয় দলের জার্সিতে সর্বোচ্চ গোলের ৪৫ বছরের রেকর্ড ভাঙল। কিংবদন্তি স্যর ববি চার্লটনের ৪৯ গোলের রেকর্ড ভেঙে দিলেন ওয়েন রুনি (৫০)। পেনাল্টি থেকে নজির গড়ার গোল করলেও ইংল্যান্ড ক্যাপ্টেন রেকর্ড ভাঙার পর উচ্ছ্বসিত গলায় বলেন, ‘‘গত কয়ে’কটা ম্যাচে গোল করার কাছাকাছি এলেও রেকর্ডটা হচ্ছিল না। সেটা শেষ পর্যন্ত করতে পারায় স্বপ্ন সত্যি হল। ইংল্যান্ডের হয়ে মাঠে আমি আরও অনেক কিছু করতে চাই। এ ভাবেই গোল করে দলতে জেতাতে চাই। এই রাতটা ভোলার নয়।’’ ইংল্যান্ডের কোচ ড্রেসিংরুমে রুনিকে স্মারক জার্সিও তুলে দেন।