সলমন খানের সঙ্গে ক্যামেরার সামনে নিখাত জ়ারিন। ছবি: ভিডিয়ো থেকে।
বক্সিং গ্লাভস খুলে রেখে এ বার অন্য চেহারায় নিখাত জ়ারিন। কমনওয়েলথ গেমসে সোনাজয়ী বক্সারকে দেখা গেল ক্যামেরার সামনে। সলমন খানের সঙ্গে তাঁরই গানের ছন্দে কোমর দোলাতে দেখা গেল নিখাতকে।
সমাজমাধ্যমে সেই নাচের ভিডিয়ো প্রকাশ করেছেন নিখাত। লিখেছেন, ‘‘শেষ পর্যন্ত অপেক্ষার অবসান হল।’’ ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, সলমনের ছবি ‘লাভ’-এর একটি গান ‘সাথিয়া তুনে কিয়া কিয়া’-র ছন্দে নাচছেন দু’জনে। সলমনের পরনে সাদা রঙের একটি জামা ও কালো রঙের প্যান্ট। অন্য দিকে নিখাত পরেছিলেন আকাশি রঙের খেলার পোশাক। এই নাচের ভিডিয়ো প্রকাশ হতেই তা ভাইরাল হয়ে যায়।
কমনওয়েলথ গেমসে নিখাত সোনা জেতার পরে টুইট করে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন সলমন। লিখেছিলেন, ‘‘সোনা জেতার জন্য তোমাকে শুভেচ্ছা।’’ তার জবাবও দিয়েছিলেন বক্সার। লিখেছিলেন, ‘‘এক জন ভক্ত হিসাবে আমার স্বপ্ন সত্যি হল। আমি ভাবতেই পারিনি আপনি আমাকে শুভেচ্ছা জানাবেন। আমার জয়কে আরও আনন্দের করে তুললেন আপনি। আমার সারা জীবন এই দিনটার কথা মনে থাকবে।’’ নিখাতের কথা থেকেই স্পষ্ট, তিনি সলমনের অনেক বড় ভক্ত। তাঁর সঙ্গে কোমর দোলাতে পেরে তাই আনন্দের শেষ নেই তাঁর।
প্রথম বার কমনওয়েলথ গেমসে নেমেই সোনা জিতেছেন নিখাত। কিন্তু তাঁর লড়াইটা মোটেই সহজ ছিল না। এমন একটি জায়গায় থাকতেন তিনি, যেখানে মেয়েদের ছোট জামাকাপড় পরাকে ভাল চোখে দেখা হত না। কিন্তু বক্সিং লড়তে গেলে শর্টস তো পরতে হবেই। ফলে নিখাত জারিন যখন বক্সিং শুরু করেছিলেন, তখন নাক সিঁটকেছিলেন অনেকেই। কিন্তু বিশ্বসেরা হয়ে সবার মুখ বন্ধ করে দিয়েছেন জারিন। প্রমাণ করে দিয়েছেন, সমাজের বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতাকে পার করেও বিশ্বমঞ্চে সফল হওয়া যায়।
১৪ বছরেই যুব বিশ্ব বক্সিংয়ে জিতেছিলেন নিখাত। বড় মঞ্চে সফল হওয়ার বীজ প্রোথিত হয়েছিল তখনই। তবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জেতার আগে পর্যন্ত তাঁকে থাকতে হয়েছে মেরি কমের ছায়ায়। ২০১১-য় যুব বক্সিংয়ে বিশ্বসেরা হওয়ার পর ২০১৬-য় সিনিয়র পর্যায়ে খেলা শুরু করেছিলেন তিনি। ফ্লাইওয়েট বিভাগে জাতীয় খেতাব জিতেছিলেন। ২০১৭-য় একটি বছর নষ্ট হয় চোটের কারণে। ২০১৮-য় জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন। ২০১৯-এ এশীয় চ্যাম্পিয়নশিপ এবং তাইল্যান্ড ওপেনেও পদক পেয়েছিলেন। ২০১৮-য় কমনওয়েলথ এবং এশিয়ান গেমসে সুযোগ না পেলেও ভেঙে পড়েননি। পরের বার সোনা জিতেছেন নিখাত।