তাঁর রিভার্স সুইংয়ের জবাব খুঁজে পেতেন না ব্যাটসম্যানরা। —ফাইল চিত্র।
বিশ্বকাপে যত বার দেখা হয়েছে, তত বারই ভারতের কাছে হার মানতে হয়েছে পাকিস্তানকে। এটাই মিথ হয়ে গিয়েছে ক্রিকেটবিশ্বে।
কী কারণে বিশ্বকাপে ভারতের সামনে পড়লেই কেঁপে যায় পাকিস্তান? এই প্রশ্নটাই করা হয়েছিল পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক ওয়াকার ইউনিসকে। প্রশ্নের জবাবে প্রাক্তন পেসার বলছেন, ‘‘বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত জিততে পারেনি পাকিস্তান। অন্য ফরম্যাটে আমরা ভাল খেলেছি ওদের বিরুদ্ধে, কিন্তু বিশ্বকাপ এলেই আমরা বার বার হার মেনেছি ভারতের কাছে। আমার মনে হয় ওই নির্দিষ্ট দিনে ভারত অনেক ভাল খেলেছে আমাদের থেকে।’’
১৯৯৬ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে অজয় জাদেজা স্লগ ওভারে নির্দয় ছিলেন ওয়াকারের উপরে। ২০০৩ বিশ্বকাপে সচিন তেন্ডুলকরের দুরন্ত ইনিংস ভারতকে জয় এনে দেয়। দুটো বিশ্বকাপেই ওয়াকার ছিলেন পাকিস্তান দলে। তার পরেও দুই দেশের দেখা হয়েছে বিশ্বকাপে। ফলাফল ভারতের দিকেই ঝুঁকেছে। ওয়াকার বলছেন, ‘‘বেঙ্গালুরু (১৯৯৬) ও প্রিটোয়িরার (২০০৩ বিশ্বকাপ) ম্যাচে আমি খেলেছিলাম। ওই দুটো ম্যাচ আমরাও জিততে পারতাম। আমরাও ম্যাচের মধ্যেই ছিলাম। কিন্তু ম্যাচগুলো আমরা ছুড়ে দিয়ে এসেছিলাম। নির্দিষ্ট করে কোনও কারণের কথা হয়তো বলা সম্ভব নয়, তবে আমার মনে হয় বিশ্বকাপ বলে চাপটা নেওয়া সম্ভব হয়নি।’’
আরও পড়ুন: ‘রাজনীতি করলেও টপে যাবে সৌরভ’, জন্মদিনে জল্পনা উস্কে দিলেন ডোনা
চেতন শর্মাকে শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে জাভেদ মিয়াঁদাদের ম্যাচ জেতানোর পর থেকে শারজায় দুই দেশের সাক্ষাৎ হলেই শেষ হাসি তোলা থাকত পাকিস্তানের জন্য। ভারতের মনের ভিতরে গেঁথে গিয়েছিল মিয়াঁদাদের সেই ছক্কা। তাই শারজায় বার বার হারতে হত ভারতকে।
বিশ্বকাপেও কি সে রকমই মনস্তাত্বিক চাপ অনুভব করতেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা? ওয়াকার বলছেন, ‘‘বিশ্বকাপে বার বার হারাটা হয়তো মনস্তাত্বিক চাপের কারণ হয়ে গিয়েছিল। তবে নির্দিষ্ট ভাবে হারের কোনও কারণ বলা কঠিন। নির্দিষ্ট দিনে ভারত অনেক ইতিবাচক এবং স্মার্ট ক্রিকেট খেলায় ম্যাচ জিতেছে।’’