কোটলার নেটে রুট। মঙ্গলবার।-পিটিআই
তিনি মুম্বইয়ে। বৃহস্পতিবার নামবেন দ্বিতীয় সেমিফাইনালে। কিন্তু তাঁর নিজের শহরে অন্য সেমিফাইনালেও যেন রয়েছেন বিরাট কোহালি।
বুধবার ফিরোজ শাহ কোটলায় বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হতে চলেছে নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড। তার আগে মোহালিতে বিরাট কোহালির ইনিংস থেকে নাকি ভাল পারফরম্যান্সের রসদ নেওয়ার চেষ্টা করছেন দুই দলেরই ব্যাটসম্যানরা। নিউজিল্যান্ড ক্যাপ্টেন কেইন উইলিয়ামসন তো বলেই দিলেন, ‘‘বিরাটের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। কোহালির মতো একটা ইনিংস খেলতে পারলে দারুন হত। ওর ইনিংসটা দেখা সত্যিই দারুন অভিজ্ঞতা।’’
বিরাট ও কেইন দু’জনেই তাঁদের যুব দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এক সময়। তখন থেকেই দু’জন মুখোমুখি হয়ে আসছেন। তবে এই বিরাট তাঁর কাছে ‘স্পেশাল’ বলেই জানিয়ে দিলেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক। যিনি এ বারের বিশ্বকাপে এসে ভারতভ্রমণের বহরে রীতিমতো বিরক্ত। যদিও এ দিন সেটা মজা করেই সাংবাদিকদের বললেন, ‘‘এখানে আসার পর থেকে তো শুধু বাক্স-প্যাঁটরা নিয়ে ঘুরেই যাচ্ছি। গোটা দেশটা প্রায় ঘুরে নিলাম আমরা। বিভিন্ন ধরণের হোটেল আর বিমান দেখে নিলাম।’’ মুম্বইয়ে দু’টি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার পর নাগপুর, ধর্মশালা, মোহালি, কলকাতা হয়ে তাঁরা এসেছেন দিল্লিতে। বিভিন্ন আবহাওয়া, কন্ডিশন মানিয়ে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটিতে জিতেও এসেছেন।
অন্য দিকে ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপের বেশিরভাগটাই কেটেছে দিল্লিতে। প্রথম দু’টি ম্যাচ মুম্বইতে খেলার পর পরের দুটো তারা খেলেছে দিল্লিতেই। টানা ১১ দিন তারা রাজধানীতে কাটানোর পর এখানেই নামছে সেমিফাইনাল খেলতে। সে দিক থেকে দেখতে গেলে কিছুটা এগিয়ে থেকেই সেমিফাইনালে নামছেন জো রুটরা। কেন এমন বৈষম্যমূলক ক্রীড়াসূচি, তা নিয়েই এ ভাবে ঘুরিয়ে প্রশ্ন তুললেন কিউয়ি অধিনায়ক।
তবু অপরাজিত হয়ে তাদের শেষ চারে ওঠার রহস্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নিচ্ছে আমরা। আর কন্ডিশন বোঝার ব্যাপারে আমরা সাফল্য পেয়ে আসছি। এটাই রহস্য বলতে পারেন। এখানকার কন্ডিশন অনুযায়ীও আমরা দল বাছব, খেলব। তার পর দেখা যাবে।’’
অন্য দিকে, ইংল্যান্ডের একটা সুবিধা যে দিল্লির কন্ডিশনের সঙ্গে অভ্যস্ত হওয়া, তা স্বীকার করে নিয়েই অধিনায়ক ইওইন মরগ্যান তাঁর দলের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স নিয়ে বলেন, ‘‘আমাদের বিভিন্ন ম্যাচে বিভিন্ন বিভাগ ভাল পারফরম্যান্স দেখিয়েছে।’’ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ব্যাটসম্যানরা। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে স্পিনাররা। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তাঁর দলের পেস বোলাররা ভাল খেলেছেন। দলের সব বিভাগই যে ফর্মে রয়েছে, এটাই ইংরেজ অধিনায়ককে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে।
কোনও দলই দলে পরিবর্তন করার পক্ষে নয়। মঙ্গলবার কিউয়ি কোচ ও ক্যাপ্টেন অনেকক্ষণ ধরে উইকেট পরীক্ষার পর, সে রকমই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে শোনা গেল। তবে ট্রেন্ট বোল্টকে নাকি তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। ইংল্যান্ড যে দল নিয়ে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে, সেই দলই রাখতে পারে।