দৃপ্ত: বিশ্বকাপে কোহালিই ভরসা ভারতের। ফাইল চিত্র
ভারতীয় ক্রিকেটে অভাব নেই প্রতিভার। কিন্তু বিরাট কোহালির মতো কেউ সেই প্রতিভার পূর্ণ বিকাশ ঘটিয়ে নিজেকে সর্বোচ্চ স্তরে নিয়ে যেতে পারেননি।
বক্তার নাম? ভারতীয় দলের প্রাক্তন মনোবিদ এবং আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালস দলের মুখ্য কোচ প্যাডি আপ্টন। সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আপ্টন বলেছেন, ‘‘২০১১ সালে আমি এবং সেই সময়ের কোচ গ্যারি কার্স্টেন লক্ষ্য করেছিলাম, ভারতীয় দলে অনেক প্রতিভাবান ক্রিকেটার রয়েছে, যারা কোহালির চেয়ে কোনও অংশে হয়তো কম ছিল না। কিন্তু যেটা দেখে অবাক হেয়ে গিয়েছিলাম তা হল, কোহালির মতো নিজের সেই ক্ষমতাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে বাকিরা কেউ নিয়ে যেতে পারেনি। সেই কারণে বিরাট বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটসম্যান।’’
এ বার বিশ্বকাপে চার নম্বরে কাকে খেলানো উচিত, তা নিয়ে আলোচনা অব্যাহত। সম্প্রতি ভারতীয় দলের হেড কোচ রবি শাস্ত্রী যেমন জানিয়ে দিয়েছেন, দলে প্রচুর অস্ত্র মজুত রয়েছে এবং চার নম্বরে যে কেউ ব্যাটিং করতে পারেন। আপ্টন মনে করছেন, চার নম্বরে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি, বিজয় শঙ্কর অথবা কে এল রাহুলের মধ্যে কেউ একজন খেলতেই পারেন। তবে ম্যাচের পরিস্থিতি দেখেই এদের তিনজনের মধ্যে কোনও একজনকে খেলানো যেতে পারে। আপ্টনের মন্তব্য, ‘‘আমার মনে হয়েছে চার নম্বরে কে খেলবে, বিতর্ক সেটা নিয়ে নয়। বরং ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী সেই সময়ে চার নম্বরে কাকে খেলানো উচিত, সেটা নিয়েই আলোচনা চলছে।’’ সেখানেই না থেমে তিনি আরও বলেছেন, ‘‘আমরা যারা ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত রয়েছি, তারা সমস্ত সময়ে সংখ্যা দিয়েই ব্যাপারটা বিচার করতে চাই। যেমন কেউ হয়তো তিন অথবা চার নম্বরে ব্যাট করতে পছন্দ করেন। কিন্তু ব্যাপারটা ততটা সহজ নয়। ম্যাচের পরিস্থিতি অনুধাবন করতে হবে। দেখতে হবে, সেই সময়ে কোন বোলার বল করছে এবং তা দেখে নিয়ে ঠিক করতে হবে কাকে ব্যাটিং করানো দরকার।’’
পাশাপাশি আপ্টন আরও জানিয়েছেন, বড় রানের ইনিংস গড়ার পাশাপাশি রান তাড়া করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে সেই দায়িত্ব পালন করার ক্ষমতা রয়েছে কোহালি এবং ধোনির। তিনি বলেছেন, ‘‘দুজনের মধ্যে দারুণ সাদৃশ্য রয়েছে। নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন। খুব ভাল বোঝে কী গতিতে দলের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়। দলের প্রয়োজনে নিজেদের ব্যাটিং স্টাইল বদলে ফেলার ক্ষমতা রয়েছে ওদের।’’ আরও বলেছেন, ‘‘কোহালি প্রথম ওভার থেকেই আক্রমণে যায়। ধোনি শুরুতে একটু মন্থর থাকে। পরে ধীরে ধীরে রানের গতি বাড়ায়।’’