সহমর্মী: মুম্বই হামলায় নিহতদের স্মরণ করলেন বিরাট। ফাইল চিত্র
২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বইয়ে বর্বরোচিত জঙ্গি হানায় নিহতদের শ্রদ্ধা জানালেন বিরাট কোহালি। ভারতীয় অধিনায়ক টুইট করেন, ‘‘স্মরণ করছি সেই সব সাহসী এবং নিরীহ মানুষদের যাঁরা ২৬/১১ হানায় প্রাণ হারিয়েছিলেন। তাঁরা আজ আর নেই, কিন্তু তাঁদের আমরা কখনও ভুলব না।’’
১১ বছর আগে এই দিনেই জঙ্গি হানায় কেঁপে উঠেছিল মুম্বই। পাকিস্তান থেকে জলপথে ভারতে প্রবেশ করা ১০ জন লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি ধারাবাহিক ভাবে মুম্বইয়ের বিভিন্ন জায়গা গুলি, বোমায় বিধ্বস্ত করার চেষ্টা করেছিল। জঙ্গিরা যে সব জায়গায় নাশকতা চালানোর ছক কষেছিল, তার মধ্যে ছিল ছত্রপতি শিবাজী টার্মিনাস (সিএসটি) রেল স্টেশন, কামা হাসপাতাল, নরিম্যান হাউস, লিওপোল্ড কাফে, তাজ হোটেল ও টাওয়ার এবং ওবেরয় ট্রাইডেন্ট হোটেল।
কোহালির পাশাপাশি সচিন তেন্ডুলকরও টুইট করেছেন, ‘‘১১ বছর হয়ে গেল। কিন্তু আমরা ভুলব না আমাদের বীর পুলিশ এবং সেনাদের আত্মবলিদানকে। দেশের সুরক্ষা এবং মানবতা যেন মাথা উচুঁ করে থাকে, নিজেদের জীবন দিয়ে নিশ্চিত করেছিলেন যাঁরা। সেই দিনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সমবেদনা জানাচ্ছি।’’ ভারতীয় স্পিনার কুলদীপ যাদবও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন নিহতদের। ‘‘২০০৮ সালের এই দিনে যে নিরীহ মানুষরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের জন্য প্রার্থনা করছি। আমরা আপনাদের ভুলব না। নিহতদের আত্মা শান্তি পাক,’’ টুইট কুলদীপের। ভারতীয় ব্যাটসম্যান চেতেশ্বর পুজারাও টুইট করেছেন মুম্বইয়ে জঙ্গিহানার ঘটনাকে স্মরণ করে। তিনি বলেছেন, ‘‘অসময়ে যাঁদের প্রাণ চলে গেল ২৬/১১ হানায়, তাদের জন্য প্রার্থনা করছি। সঙ্গে সেই সব বীর নায়কদের জন্যও প্রার্থনা করি, যাঁরা আমাদের রক্ষা করার জন্য প্রাণ দিয়েছেন।’’ আর এক ভারতীয় ব্যাটসম্যান অজিঙ্ক রাহানে টুইট করেছেন, ‘‘এখনও মনে আছে কী ভাবে ২৬/১১ হামলায় শহর স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। নিরাপত্তারক্ষীরা অসাধারণ সাহসিকতা দেখিয়েছিলেন। তাঁদের সম্মান জানাই। তাঁদের জন্য আমাদের প্রার্থনা সব সময় থাকবে।’’ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতীয় বোলার ইশান্ত শর্মা স্মরণ করেছেন ২৬/১১-র ঘটনাকে। তিনি লিখেছেন, ‘‘১১ বছর আগে আজকের দিনে আমাদের সুরক্ষার জন্য প্রাণ দেওয়া সাহসী অফিসার এবং দেশের মানুষকে শ্রদ্ধা জানাই।’’
এই ভয়ঙ্কর হানা চার দিন ধরে চলেছিল। মারা যান ১৬৬ জন। আহত ৩০০-রও বেশি মানুষ। সেনা-পুলিশ ও এনএসজি কম্যান্ডোদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে এর পরে ১০ জন জঙ্গির মধ্যে ন’জনের মৃত্যু হয়। এক মাত্র জীবিত ধরা পড়ে আজমল কসাব। ফাঁসি হয় তার।