ছিপছিপে শামিকে দেখে মুগ্ধ বিরাট

সাদা বলের ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনের পরে ১০ ম্যাচে ১৯টি উইকেট নিয়েছেন শামি। এই সময়ে তাঁর চেয়ে বেশি উইকেট কোনও ভারতীয় পেসার নিতে পারেননি। শামির সাফল্যের পিছনে যে ফিটনেস, তা পরিষ্কার হয়ে যায় কোহালির কথায়। হায়দরাবাদে ম্যাচ জিতে উঠে কোহালি বলেন, ‘‘দারুণ ভাবে সাদা বলের ক্রিকেটে ফিরে এসেছে শামি। ওকে এত ফিট আমি আগে দেখিনি। অন্তত চার-পাঁচ কিলো ওজন কমিয়ে ফেলেছে।’’

Advertisement

কৌশিক দাশ

নাগপুর শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০১৯ ০৪:৪৯
Share:

মোহিত: শামির আগ্রাসনে সন্তুষ্ট অধিনায়ক বিরাট কোহালিও। টুইটার

মহম্মদ শামিকে যত দেখছেন তিনি, তত মুগ্ধ হচ্ছেন। ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালি এও আশা করছেন, আসন্ন বিশ্বকাপে এই শামিকেই পাওয়া যাবে বল হাতে।

Advertisement

সাদা বলের ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনের পরে ১০ ম্যাচে ১৯টি উইকেট নিয়েছেন শামি। এই সময়ে তাঁর চেয়ে বেশি উইকেট কোনও ভারতীয় পেসার নিতে পারেননি। শামির সাফল্যের পিছনে যে ফিটনেস, তা পরিষ্কার হয়ে যায় কোহালির কথায়। হায়দরাবাদে ম্যাচ জিতে উঠে কোহালি বলেন, ‘‘দারুণ ভাবে সাদা বলের ক্রিকেটে ফিরে এসেছে শামি। ওকে এত ফিট আমি আগে দেখিনি। অন্তত চার-পাঁচ কিলো ওজন কমিয়ে ফেলেছে।’’

এই নতুন শামিকে যে তাঁর খুবই পছন্দ, সেটা বারবার বুঝিয়ে দিচ্ছেন কোহালি। রবিবার দুপুরে হায়দরাবাদ ছাড়ার আগে শামির সঙ্গে ছবি টুইট করে কোহালি লেখেন, ‘‘এ বার নাগপুর। আমার সঙ্গে চাবুকের মতো ছিপছিপে পেস মেশিন মহম্মদ শামি।’’

Advertisement

অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ওয়ান ডে-তে নতুন বলে তো বটেই, দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে এসেও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিলেন শামি। নেন দু’উইকেট। দুর্দান্ত একটা ডেলিভারিতে ফিরিয়ে দেন জমে যাওয়া গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে। যা নিয়ে ভারত অধিনায়ক পরে বলেন, ‘‘ম্যাক্সওয়েলকে ওই সময় যে ডেলিভারিতে আউট করে শামি, সেটা দারুণ একটা বল ছিল। শামির ভিতর সফল হওয়ার একটা খিদে দেখছি। আশা করি, বিশ্বকাপেও সাফল্যের জন্য এ রকমই ক্ষুদার্থ থাকবে ও।’’

পারিবারিক সমস্যা কাটিয়ে উঠে অস্ট্রেলিয়া সফর থেকেই দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন বাংলার এই ফাস্ট বোলার। লাল বলের মতো সাদা বল হাতেও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছেন তিনি। আর শামিকে নিয়ে প্রশংসা শুধু ভারতীয় শিবিরই করছে না, প্রশংসা ভেসে আসছে বিপক্ষ শিবির থেকেও।

যেমন অস্ট্রেলিয়ার পেসার নেথান কুল্টার-নাইল। হায়দরাবাদ ম্যাচের পরে সাংবাদিক বৈঠকে এসে অস্ট্রেলিয়ার এই পেসার বলে যান, ‘‘শামি দুর্দান্ত বোলার। ওকে দেখলেই বোঝা যায়, কতটা দক্ষতাসম্পন্ন।’’ উপ্পলে শামির শেষ দিকের করা স্পেল নিয়ে কুল্টার নাইল বলছেন, ‘‘শেষ দিকে শামিকে মারা সত্যিই কঠিন হয়ে যাচ্ছিল। গতি পরিবর্তন করছিল, ইয়র্কারগুলো একেবারে ঠিক জায়গায় ফেলছিল। আমাকে মারার কোনও সুযোগই দেয়নি।’’ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ওয়ান ডে জিতে ভিভিয়ান রিচার্ডসকে টপকে গেলেন কোহালি। ভারত অধিনায়ক হিসেবে ৬৪টি ওয়ান ডে ম্যাচে ৪৮তম জয় পেলেন কোহালি। অধিনায়ক হিসেবে রিচার্ডস জিতেছিলেন ৪৭টি। ৬৪ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে জয়ের বিচারে কোহালির আগে আছেন রিকি পন্টিং (৫১ জয়), ক্লাইভ লয়েড (৫০ জয়)। হায়দরাবাদে একটা সময় ভারতের ৯৯ রানে চার উইকেট পড়ে গিয়েছিল। তখন নাকি খুশিই হয়েছিলেন কোহালি। তিনি দেখতে চেয়েছিলেন দল ওই অবস্থা থেকে ম্যাচ বার করতে পারে কি না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement