Virat Kohli

বিরাট একাই ১১ জনের সমান, বলছেন সাকলিন মুস্তাক

গত বছরের বিশ্বকাপ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের স্পিন পরামর্শদাতা ছিলেন প্রাক্তন অফস্পিনার সাকলিন। সেই সময়ই কোহালির বিরুদ্ধে বোলিং সম্পর্কে পরামর্শ দিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের দুই স্পিনার মইন আলি ও আদিল রশিদকে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

করাচি শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০২০ ১৩:৩১
Share:

বিরাটকে বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান বলে মেনে নিয়েছেন সাকলিন। ছবি: এএফপি।

বিরাট কোহালি মানে গোটা ভারতীয় দল। ও একাই এগারো জন! অন্তত সাকলিন মুস্তাক তেমনটাই মনে করেন।

Advertisement

গত বছরের বিশ্বকাপ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের স্পিন পরামর্শদাতা ছিলেন প্রাক্তন এই অফস্পিনার। সেই সময়ই ইংল্যান্ডের দুই স্পিনার মইন আলি ও আদিল রশিদকে এই পরামর্শ দিয়েছিলেন সাকলিন। ইনস্টাগ্রামে এক লাইভ শোয়ে পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার বলেছেন, “বিরাট কোহালি একা নয় ও ১১ জনের সমান। আমি ওদের বলতাম যে, বিরাটকে ফেরানো মানে পুরো ভারতীয় দলকে আউট করার মতো। ও হল একের মধ্যে এগারো জন। এ ভাবেই দেখতে হবে ওকে। বোলার হিসেবে পরিষ্কার ভাবনা রাখতে হবে ওর বিরুদ্ধে। সামনে এক জন বিশ্বমানের খেলোয়াড়। যে কিনা ফর্মের তুঙ্গে রয়েছে। কোনও ধরনের স্পিনের বিরুদ্ধেই ও সমস্যায় পড়ে না। তা সে বাঁ-হাতি স্পিনারই হোক, অফস্পিনার হোক বা লেগস্পিনার।”

আরও পড়ুন: ‘রক্ত টগবগ করে ফুটছিল’, বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালে সোহেল-পর্ব নিয়ে মুখ খুললেন প্রসাদ​

Advertisement

আরও পড়ুন: বিদেশে নয়, সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে দেশেই আইপিএল করতে মরিয়া বোর্ড​

তিনি কী পরামর্শ দিতেন ইংল্যান্ডের স্পিনারদের? সাকলিন বলেছেন, “ওদের বলতাম যে তোমাদের থেকে চাপ বিরাটের উপর বেশি। কারণ, পুরো বিশ্ব তাকিয়ে রয়েছে ওর দিকে।” মইন আলি ও আদিল রশিদ, ইংল্যান্ডের দুই স্পিনার কোহালির বিরুদ্ধে সফলও। প্রত্যেকেই ছয় বার করে ফিরিয়েছেন ভারত অধিনায়ককে। ২০১৮ সালে হেডিংলিতে এক ওয়ানডে ম্যাচে দুরন্ত ডেলিভারিতে বিরাটকে বোল্ড করেছিলেন রশিদ। সাকলিন সেই ডেলিভারির নাম দিয়েছেন ‘বিরাট-ওয়ালা ডেলিভারি।’ নেটে তা নিয়মিত অনুশীলন করতে উৎসাহও দিতেন রশিদকে। সাকলিন বলেছেন, “ওটা ছিল ওয়াইড বল। প্রচুর ড্রিফট ছিল। সেখান থেকে অফস্টাম্পের বেল ফেলে দেয়। আমি নেটেও এই বলটা করতে বলতাম ওকে। নিজের আত্মাকে বলে মিশিয়ে দিলে তবেই এই বল করা যায়। বিরাট হল বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড়। কিন্তু নিজের পরিকল্পনা, কল্পনা, অনুভূতি ও প্যাশন দিয়ে বল করলে তুমিও কম যাও না, সেটাই বলতাম ওদের। বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে ওর একটা ইগো থাকার কথা। বলতাম, ডট বল হলে সেই অহং খোঁচা খায়। আর আউট করতে পারলে তো বিরাট খুব আঘাত পাবে। এটা ছিল মানসিক লড়াই।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement