বিনেশ ফোগট (বাঁ দিকে) এবং বজরং পুনিয়া। — ফাইল চিত্র।
সামনেই কুস্তি সংস্থার নির্বাচন। বিদেশের প্রস্তুতি শিবির ছেড়ে তার আগেই দেশে ফিরে এলেন বিনেশ ফোগট এবং বজরং পুনিয়া। বিনেশ ছিলেন কিরঘিজস্তানের ইসিক-কুলে। বজরং ছিলেন বুদাপেস্টে। বিনেশের এই সময়েই ফেরার কথা ছিল। কিন্তু বজরং নির্ধারিত সময়ের তিন-চার দিন আগেই ফিরেছেন।
দুই প্রতিবাদী কুস্তিগিরেরই নজর থাকছে ফেডারেশনের নির্বাচনে। হরিয়ানার কুস্তিগির অনিতা শেওরান লড়ছেন সভাপতি পদের জন্যে। তাঁর দিকে সমর্থন রয়েছে বিনেশ, বজরং-সহ বেশির ভাগ প্রতিবাদী কুস্তিগিরের। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, যাঁরা লড়ছেন নির্বাচনে তাঁদের মধ্যে অনিতাই একমাত্র প্রার্থী যিনি প্রাক্তন সভাপতি ব্রিজভূষণ শরন সিংহের শারীরিক হেনস্থার সাক্ষী।
৩৮ বছরের প্রাক্তন এই কুস্তিগির ২০১০ সালে কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জিতেছিলেন। সভাপতি পদে লড়তে চলা চার জনের একজন তিনি। মহিলা প্রার্থীও তিনি একাই। তবে বিনেশ, বজরং নির্বাচনের জন্যে ফিরে এসেছেন কি না তা জানাতে চাননি সংস্থার এক সূত্র।
ভারতীয় কুস্তি সংস্থার নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। ১৫টি পদের জন্য ৩০ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১৮ জন কুস্তি সংস্থার বিদায়ী সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংহের শিবিরের। বাকি ১২ জন বিরোধী শিবিরের।
সোমবার দিল্লির অলিম্পিক্স ভবনে গিয়ে মনোনয়ন জমা দেন সবাই। প্রথমেই যান ব্রিজভূষণ শিবিরের প্রার্থীরা। কনভয় নিয়ে শোরগোল করতে করতে সেখানে যান তাঁরা। এ বারের নির্বাচনে লড়তে পারবেন না ব্রিজভূষণ ও তাঁর ছেলে। তাঁর পরিবারের কেউ যে নির্বাচনে দাঁড়াচ্ছেন না তা আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন কুস্তি কর্তা তথা বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ। তাঁর শিবিরের হয়ে সভাপতি পদে মনোনয়ন দিয়েছেন দিল্লি কুস্তি সংস্থার সভাপতি জয় প্রকাশ ও উত্তর প্রদেশ কুস্তি সংস্থার সঞ্জয় সিংহ। সাধারণ সচিব পদে চণ্ডীগড় কুস্তি সংস্থার দর্শন লাল ও কোষাধ্যক্ষ পদে উত্তরাখণ্ড কুস্তি সংস্থার এসপি দেশওয়াল মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
সভাপতি পদের জন্য ব্রিজভূষণের শিবির থেকে কেন দু’জন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন জয়। তিনি বলেন, ‘‘আমরা জেতার বিষয়ে নিশ্চিত। তাড়াহুড়ো থাকায় দু’জন নাম দিয়েছি। আমাদের মধ্যে কে শেষ পর্যন্ত লড়বে তা আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ঠিক করে নেব। সবার সম্মতি নিয়েই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বাকি যে সব পদে আমাদের দু’জন করে প্রার্থী রয়েছে তাদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম মেনে চলা হবে। আলোচনা করে এক জনকেই নির্বাচনে দাঁড় করানো হবে।’’