পয়মন্ত কোটলায় খেলা বলেই স্বস্তি

রাজধানীতে ধোনিদের হোটেলে যে আগুন লাগা নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে, বাংলার ক্রিকেটারেরা জানতেন না। মাঠে ঝাড়খণ্ড দল এসে পৌঁছনোর পরে তাঁদের মুখে শোনেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০১৭ ০৩:৩৭
Share:

নজরে: বাংলার দুই ভরসা অধিনায়ক মনোজ ও সুদীপ। —ফাইল চিত্র।

রাজধানীতে ধোনিদের হোটেলে যে আগুন লাগা নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে, বাংলার ক্রিকেটারেরা জানতেন না। মাঠে ঝাড়খণ্ড দল এসে পৌঁছনোর পরে তাঁদের মুখে শোনেন।

Advertisement

শুক্রবারের সেমিফাইনাল ছিল পালাম বিমানবন্দরের মাঠে। ধোনিরা সেখানে এখ ঘণ্টা দেরিতে পৌঁছন। হোটেলের পাশে শপিং মল থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ার খবরে ক্রিকেটারেরা আটকে পড়েছেন শুনে সকালেই খেলা পিছিয়ে দেয় ভারতীয় বোর্ড। তার পর মাঠে এসে ঝাড়খণ্ড দলের কোচ বলতে থাকেন, কী ভাবে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ছিল। সকলে নিরাপদ থাকলেও পরিস্থিতি যে একেবারেই হাল্কা ভাবে নেওয়ার মতো ছিল না, সেটা প্রতিপক্ষ কোচের কথা শুনেই বুঝে যান বাংলার ক্রিকেটারেরা।

বাংলার কাছে অবশ্য আগুনের কারণে ম্যাচ পিছিয়ে যাওয়াটা আশীর্বাদ হিসেবেই দেখা দিল। তার কারণ হচ্ছে, পালামের মাঠ থেকে সেমিফাইনাল স্থানান্তরিত হয়ে গিয়েছে ফিরোজ শা কোটলায়। আজ, শনিবার সেই ম্যাচ হবে। পালাম মাঠের পিচ মোটেও ভাল নয়। কী হবে কিছু বলা যাচ্ছিল না। ফিরোজ শা কোটলা সে দিক দিয়ে অনেক নিরাপদ। কোয়ার্টার ফাইনালে কেদার যাদব-দের মহারাষ্ট্রকে ৩১৪ রান তাড়া করে হারিয়েছে বলে বাংলা দলের মধ্যে কোটলা নিয়ে একটা ইতিবাচক মনোভাবও রয়েছে।

Advertisement

অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি যেমন দিল্লি থেকে সকালেই বললেন, ‘‘কোটলার পিচটা অনেক বেশি আশ্বস্ত হওয়ার মতো। আমরা ভাল খেলছি। ভাল উইকেটে খেললে আমাদের সুবিধেই হবে।’’ আর ধোনিদের হোটেলে আগুন? মনোজ বললেন, ‘‘ওদের কোচ রাজীব রাজা আমাদের পূর্বাঞ্চল টিমেরও কোচ ছিলেন। উনি বলছিলেন, আগুন বেশ ছড়িয়ে পড়েছিল।’’ ধোনিদের অন্য একটি হোটেলে সরানোর কথাও হচ্ছিল। খেলা না হওয়ায় সুবিধে হল না অসুবিধে? মনোজ বললেন, ‘‘ভালই তো হল আমাদের। আরও একটা দিন বিশ্রাম পাচ্ছে সকলে। কোটলাতেও খেলতে পারছি।’’

যদিও মনোজ যতটা আশীর্বাদ হিসেবে ধরছেন, ততটা না-ও হতে পারে। কারণ, কোটলাতে দু’টো উইকেট আছে। বিজয় হজারে ট্রফিতে দু’ধরনের উইকেটই ব্যবহার করা হয়েছে। একটিতে ৩১৪ তাড়া করার মতো হাই স্কোরিং ম্যাচ হয়েছে। অন্যটিতে ২২০-২২৫ রানের খেলা হচ্ছে। ধোনিদের সঙ্গে কোন বাইশ গজ ব্যবহার করা হয়, সেটাও দেখার।

তবে ধোনি-ম্যাচ যদি মানসিকতার যুদ্ধ হয়, তা হলে মনোজ-রা তৈরি। বাংলার অধিনায়ক বলে দিলেন, ‘‘ধোনি ক্যাপ্টেন হিসেবে তফাত করে দিচ্ছে। ঝাড়খণ্ডকে আমরা এই মরসুমে আগেও খেলেছি। কিন্তু তখন ওদের এই শরীরী ভাষাটা ছিল না। সেটা ক্যাপ্টেন মাহি এনে দিয়েছে।’’ পাশাপাশি, নিজেদের প্রস্তুতি, খিদে এবং পরিকল্পনা নিয়েও সন্তুষ্ট মনোজ। ‘‘শুধু ধোনি নয়, খেলোয়াড় ধরে ধরে ওদের সকলকে নিয়েই পরিকল্পনা করেছি আমরা।’’

সব চেয়ে ভাল লক্ষণ বোধ হয় ম্যাচটা ভেস্তে যাওয়ার পরেও পালামের মাঠ ছেড়ে বাংলা দলের বেরিয়ে না যাওয়া। সকালে ওই মাঠেই ছেলেদের প্র্যাকটিস করান কোচ সাইরাজ বাহুতুলে। দিল্লিতে ব্যক্তিগত কাজে যাওয়া সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার ঘুরে গিয়েছিলেন বাংলার শিবিরে। তিনি সম্ভবত আজ মাঠে থাকছেন না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement