মুরলীর সঙ্গে লক্ষ্মী। সোমবার সল্টলেক মাঠে। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস
মতবাদ এক— জুনিয়রে ভরসা করা যাচ্ছে না। তাই টিমে তাদের খুব বেশি দরকার নেই। মতবাদ দুই— ভাল রিজার্ভ বেঞ্চ পেতে হলে দরকার জুনিয়র। নইলে পরে বিপদ হবে। মূলত এই দুই মতবাদের বিরোধ নিয়ে মঙ্গলবার ইডেনের ক্লাবহাউসে দেড় ঘন্টার দল নির্বাচনী বৈঠক সরগরম।
তবে শুধু নির্বাচনী বৈঠক বোধহয় নয়। সোমবারের বিজয় হাজারে দল নির্বাচনী বৈঠককে ঘিরে আরও একে একে অনেক কিছু ঘটে গেল। জনৈক প্রভাবশালী নির্বাচককে মনে করিয়ে দেওয়া হল যে, টিমের প্রথম এগারো বাছবেন শুধু কোচ আর অধিনায়ক। নির্বাচকরা বাছবেন স্কোয়াড। বড়জোর কিছু পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে প্রথম এগারো নির্বাচন নিয়ে। দ্বিতীয়ত, খুঁজে বার করার চেষ্টা হল সদ্যসমাপ্ত চ্যালেঞ্জার ট্রফিতে বাংলার ভুলভ্রান্তি। এক সেট জুনিয়র বেরিয়ে গেলেন, আর এক সেট ঢুকলেন। চ্যালেঞ্জার ট্রফির টিম থেকে সাত জুনিয়র বাদ পড়লেন। বিজয় হাজারে টিমে আছেন পাঁচ জুনিয়র। সুদীপ চট্টোপাধ্যায়, শুভজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগ দিলেন প্রীতম চক্রবর্তী, অভিমন্যু ঈশ্বরণ, ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায়। দু’দিন আগেই আবার অশোক মলহোত্র ইঙ্গিত দেন যে, জুনিয়রদের নিয়ে লাভ হচ্ছে না। এ দিন বৈঠকের পরে টিম নিয়ে প্রথমে বললেন, “জিজ্ঞাসা করবেন না প্লিজ। এই নিয়ে কিছু বলব না।” রাতে বাড়ি ফিরে বললেন, “টিম ঠিকই আছে। মাঠে কী হয় সেটাই আসল।”
অশোকের চূড়ান্ত অভিমত স্পষ্ট নয়। কিন্তু শোনা গেল, বৈঠকে সিএবি যুগ্ম-সচিব সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় নাকি বলে দেন, জুনিয়রদেরই বেশি সুযোগ দিতে হবে। না হলে পরবর্তী প্রজন্মের ক্রিকেটার উঠবে না। এক প্রভাবশালী নির্বাচক শিবসাগর সিংহ-র মতো সিনিয়রের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর প্রস্তাব দিলেও নাকি নাকচ হয়ে যায়। ওই নির্বাচক আরও এক ক্রিকেটারকে দলে চেয়েছিলেন। কিন্তু লাভ হয়নি। এমনিতেই বাংলার নির্বাচক কমিটির অবস্থা সুবিধের নয়। এক নির্বাচকের সঙ্গে বাকিদের সম্পর্ক দিন দিন খারাপ হচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। মুখোমুখি গণ্ডগোল না হলেও চোরা টেনশন আছে।
বাংলা: লক্ষ্মী (অধিনায়ক), মনোজ, অরিন্দম, শ্রীবত্স, সুদীপ, শুভজিত্, সৌরাশিস, ইরেশ, দিন্দা, দেবব্রত, বীরপ্রতাপ, প্রীতম, সায়নশেখর, সৌরভ সরকার, অভিমন্যু, ঋত্বিক।