ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচটায় ভাল খেলতে চান উসমান। ছবি: এএফপি।
রোহিত শর্মারা যখন বাঁ হাতি পেসারদের সামলানোর উপায় খুঁজে চলেছেন, তখন পাকিস্তানের এক বাঁ হাতি পেসার হুঙ্কার দিয়ে রাখলেন ভারতের উদ্দেশে। তিনি হংকংয়ের বিরুদ্ধে তিন উইকেট নেওয়া উসমান খান শিনওয়ারি।
নতুন বলে নয়, এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হংকংকে রিভার্স সুইংয়ে ভেঙেছিলেন উসমান। কিন্তু তিন উইকেটে তিনি মোটেই খুশি নন। এই ফাস্ট বোলার এখন বলছেন, ‘‘ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে যারা ভাল খেলে, তাদের সবাই সম্মান করে। আমিও এই ম্যাচটায় ভাল খেলতে চাই। হংকংয়ের সঙ্গে তিন উইকেট পেয়েছি। এ বার ভারতের বিরুদ্ধে পাঁচ উইকেট তুলতে হবে।’’
এ বারের এশিয়া কাপে ছয় পেসারে খেলতে এসেছে পাকিস্তান। যার মধ্যে চার জনই বাঁ হাতি। চব্বিশ বছর বয়সি তরুণ এই পেসার বেশ সাড়া জাগিয়ে তাঁর ওয়ান ডে কেরিয়ার শুরু করেছেন। সাতটি ম্যাচে নিয়েছেন ১৮টি উইকেট। গড় ১০.৫৫। হংকং ম্যাচের পরে নিজের দলের শক্তি নিয়ে সাংবাদিকদের এই পেসার বলেছেন, ‘‘আমাদের বোলিং লাইনের দিকে একবার তাকান। যারা খেলছে তাদের কথা বাদই দিলাম। যারা রিজার্ভ বেঞ্চে বসে আছে, তাদের একবার দেখুন। তা হলেই আমাদের শক্তিটা ভাল করে বুঝে যাবেন।’’
প্রত্যয়ী: সাংবাদিক বৈঠকে ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ছবি: এএফপি।
রবিবারের হংকং ম্যাচের পরে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী পাকিস্তান দল। যা পরিষ্কার উসমনের কথায়। তিনি মনে করিয়ে দিতে চান, ‘‘পাকিস্তান কিন্তু দুবাই পিচের চরিত্র খুব ভাল করে জানে। এটা অবশ্যই আমাদের কাছে একটা বাড়তি সুবিধা।’’
সোমবার ভারত যখন প্র্যাক্টিস করছিল, তখন আইসিসি ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে দেখা গেল পাক অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদকে। তাঁর দলের ক্রিকেটার গর্জন করলেও সরফরাজকে যথেষ্ট সতর্ক শোনাচ্ছে। তিনি বলছিলেন, ‘‘আমাদের হংকং ম্যাচটা নয়-দশ উইকেটে জেতা উচিত ছিল।’’ আরও একটা ব্যাপারে চিন্তিত সরফরাজ। ‘‘নতুন বলে আমাদের বোলাররা সে রকম সুইং করাতে পারেনি। এটা কিন্তু খুব চিন্তার বিষয়।’’
প্রথম ম্যাচে পাক বোলিংয়ের সেরা অস্ত্র মহম্মদ আমিরকে বেশ নিষ্প্রভ দেখিয়েছে। শেষ চারটে ওয়ান ডে ম্যাচে আমিরের উইকেট সংখ্যা মাত্র এক। কিন্তু উসমান উদ্বিগ্ন নন। তিনি বলেছেন, ‘‘উইকেট পাওয়াটা অনেকটা ভাগ্যের ওপর নির্ভর করে। কোনও কোনও দিন সাধারণ বোলিং করেও উইকেট তোলা যায়। আবার কোনও কোনও দিন দেখা যায়, দুর্দান্ত বোলিং হচ্ছে, কিন্তু উইকেট আসছে না। আমিরের ক্ষেত্রে তা-ই হচ্ছে। প্রতিটা ম্যাচেই ও ভাল বল করছে। কিন্তু উইকেট আসছে না। আমি নিশ্চিত, ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচ থেকে আমিরের ভাগ্য ঘুরে যাবে। ও উইকেট পেতে শুরু করবে।’’
নতুন বল না হলে পুরনো বলেও যে তাঁরা সমান ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন, তার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন উসমান। বলছিলেন, ‘‘পিচ এখানে একটু মন্থর। নতুন বলে আমি যত জোরে সম্ভব বল করার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু উইকেট তুলতে পারিনি। দ্বিতীয় স্পেলে যখন আসি, বলটা ‘রাফ’ হয়ে গিয়েছিল। তা-ই রিভার্স সুইং পেতে সমস্যা হয়নি।’’
মহারণের টস হতে ৪৮ ঘণ্টা বাকি। কিন্তু পাক পেসারের হুঙ্কার শুনে মনে হচ্ছে, বল হাতে দৌড়টা তিনি শুরু করেই দিয়েছেন।