সাদা বলের ক্রিকেটে তাঁকে ঠিকঠাক ব্যবহার করা হয়নি, আক্ষেপ উমেশের। ছবি: রয়টার্স।
২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ী দলের সদস্য ছিলেন। দু’বছর পরে, ২০১৫ সালে বিশ্বকাপের স্কোয়াডেও ছিলেন। শুধু স্কোয়াডে থাকাই নয়, দলের হয়ে সর্বাধিক উইকেটশিকারিও ছিলেন। কিন্তু, তার পর থেকে জাতীয় দলে অনিয়মিত হয়েই থেকেছেন উমেশ যাদব।
রীতিমতো চড়াই-উতরাইয়ের মধ্যে দিয়ে এগিয়েছে বিদর্ভের পেসারের কেরিয়ার। তাঁকে ক্রমশ লাল বলের ক্রিকেটের বিশেষজ্ঞ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এবং তার পরও অধিকাংশ সময় প্রথম এগারোর বাইরে তাঁকে রেখেছে দল পরিচালন সমিতি।
উমেশ সেই ব্যাপারে বলেছেন, “সুযোগ না পেলে খারাপ তো লাগেই। আগে সাইডলাইনে বসতে হলে খুব কষ্ট হত। বসে বসে দেখতে খারাপ লাগত। কিন্তু পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। উপলব্ধি করেছিলাম যে, মন খারাপ করে থাকাটা কোনও কাজের নয়। তেমন হলে সুযোগ এলেও কাজে লাগানো যেত না। ইশান্ত শর্মা, মহম্মদ শামি ও জশপ্রীত বুমরা ভাল বোলিং করছিল। ফলে, অভিযোগের জায়গা ছিল না। টিম ম্যানেজমেন্টকে সঠিক ভারসাম্যের চেষ্টা করতে হচ্ছিল। যা মোটেই সহজ ছিল না।”
আরও পড়ুন: করোনা যুদ্ধে অর্থ সাহায্য বিরাট-অনুষ্কার
আরও পড়ুন: কেরিয়ারে এই উচ্চতায় পৌঁছবেন, সেটা নিজেই ভাবেননি ধোনি!
দেশের মধ্যে টেস্টে উমেশের বোলিং গড় ছিল ২৪.৫৪। কিন্তু বিদেশে সেটাই বেড়ে দাঁড়াত ৪২.৩৩। কেন? উমেশের যুক্তি, “আমি তো টানা দুটো টেস্টই খেলার সুযোগ পাই না। বাইরের কন্ডিশনে খেলার সুযোগ না পেলে শেখার অবকাশও থাকে না যে।”
ওভারের ক্রিকেটে তাঁকে ঠিক ভাবে ব্যবহার করা হয়নি, অভিযোগও থাকছে। উমেশের কথায়, “আমাকে জাতীয় নির্বাচকরা একদিনের ক্রিকেটে যথাযথ সুযোগ দেননি। একটা ম্যাচ খেললাম তো পরেরটা খেললাম ছয় মাস পরে। এ ভাবে খেলা কঠিন। তাই আমার কেরিয়ার কখনই থিতু হয়নি। ২০১৫ বিশ্বকাপে ভাল বল করার পরও বাদ পড়ে গিয়েছিলাম।” সার্বিক ভাবে অবশ্য ইতিবাচক থাকতে চাইছেন তিনি। উমেশের মতে, “সব মিলিয়ে এটা স্বপ্নেরই সফর। জীবন আমাকে এত কিছু দিয়েছে যে আর কিছু চাওয়ার নেই।”