উন্মত্ত ইংরেজ সমর্থককে গ্রেফতার করছে পুলিশ। ফাইল চিত্র।
ইউরো ফাইনালে টাইব্রেকারে গোল না করতে পারার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিলেন ইংল্যান্ডের স্ট্রাইকার মার্কাস র্যাশফোর্ড। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে সমস্ত ধরনের বর্ণবিদ্বেষী আক্রমণের প্রতিবাদ জানিয়ে এও বলে দিলেন, জীবনে কখনও ত্বকের রঙের জন্য দুঃখপ্রকাশ করবেন না! অস্বীকার করবেন না, নিজের উৎসের কথা।
এরই মধ্যে ফাইনালের দিন ওয়েম্বলিতে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়া নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে উয়েফা। বিনা টিকিটের বেশ কিছু ইংল্যান্ড সমর্থক জোর করে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করার চেষ্টা করে। পুলিশের উপরেও হামলা হয়। যে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। উয়েফা জানিয়েছে, মাঠ এবং মাঠের বাইরে সমর্থকদের আচরণ নিয়ে তদন্ত হচ্ছে।
মাত্র এক বছর আগের ঘটনা। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের তারকা র্যাশফোর্ড প্রশংসিত হয়েছিলেন, করোনা অতিমারির মধ্যে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা পরিবারের শিশুদের বিনামূল্যে স্কুলে খাবার সরবরাহের জন্য। অথচ আজ, নিজের শহর উইদিংটনে তাঁর দেওয়ালচিত্র নোংরা করা হচ্ছে!
জন্যগণমাধ্যমে একই রকম আক্রমণের শিকার হয়েছেন দলের অন্য দুই কৃষ্ণাঙ্গ তারকা বুকায়ো সাকা এবং জাডন সাঞ্চোও। পরিস্থিতি এতটাই অগ্নিগর্ভ যে, শহরের পুলিশ এখন গণমাধ্যমে অসভ্যতা করা সেই সমস্ত মানুষকে খুঁজে বার করতে উঠে পড়ে লেগেছে। দোষীদের চিহ্নিতকরণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন সংস্থাকে। সরকারকে তদন্তে সহযোগিতা করছে এফএ। গ্রেফতারও চলছে। লন্ডনের পুলিশ জানিয়েছে, তারা ইতিমধ্যেই ৮৬ জন ‘ফুটবল গুন্ডাকে’ হাজতে পাঠিয়েছে।
র্যাশফোর্ড তাঁর বার্তায় বলেছেন, ‘‘পেনাল্টি কেন নষ্ট করলাম তা নিয়ে সমালোচনা হোক। অবশ্যই বলটা গোলের ভিতরে রাখা উচিত ছিল। কিন্তু কেউ যদি আমি কে, কোথা থেকে এসেছি— ধরনের প্রসঙ্গ তোলে, তা হলে কোনও ভাবেই কারও কাছে ক্ষমা চাইতে পারব না।’’