ফের একবার অলিম্পিক্সে পদক জয়ের লক্ষ্য নিয়ে নামছেন নোভাক জোকোভিচ। ফাইল চিত্র
রজার ফেডেরার আগেই সরে গিয়েছেন। রাফায়েল নাদালও নেই। তবে ব্যতিক্রম সদ্য উইম্বলডন জয়ী নোভাক জোকোভিচ। ২০০৮ সালে বেজিং অলিম্পিক্সের পর ফের একবার সার্বিয়ার হয়ে পদক জেতার সুযোগ তাঁর কাছে রয়েছে। সেই সঙ্গে এক ক্যালেন্ডারে থাকছে গোল্ডেন স্ল্যাম জয়ের সুযোগও। তবে ইতিহাস গড়ার দোরগোড়ায় দাঁড়িয়েও নির্লিপ্ত জোকার।
জোকোভিচ সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “এক জন ক্রীড়াবিদের কাছে দেশের হয়ে খেলা সব সময় গর্বের। সার্বিয়ার প্রতিনিধি হিসেবে টোকিয়ো অলিম্পিক্সের প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করতে চাই। অনেকে অলিম্পক্স থেকে সরে গিয়েছে। যারা সরে গিয়েছেন সেটা সম্পূর্ণ তাদের সিদ্ধান্ত। তাই বলে আপনারা অহেতুক তুলনা করতে যাবেন না।”
ইতিহাসের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে থাকলেও সেটা নিয়ে ভাবতে নারাজ তিনি। জোকার যোগ করলেন, “জানি আমি ইতিহাস গড়ার দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে আছি। যেখানেই যাই এই এক বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তবে তাই বলে আমি একফোঁটাও চাপে নেই। বরং আরও কঠিন পরিশ্রম করছি। কারণ এখনও অনেক পথ যে বাকি।”
এ বার দেশের জন্য পদক জিততে মরিয়া জোকার। ফাইল চিত্র
চলতি বছর তিনটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম ইতিমধ্যেই জেতা হয়ে গিয়েছে ৩৪ বছরের জোকোভিচের। ফেডেরার, নাদালের যখন ছন্দ পেতে অসুবিধা হচ্ছে, জোকোভিচ যেন মধ্যগগনে তাঁর দ্যুতি ছড়িয়ে দিচ্ছেন। শক্তি দিচ্ছেন তরুণদের বেড়ে ওঠার। জিতেই চলেছেন তিনি।
জোকোভিচের এই বিজয় রথ তাঁকে এনে দিতে পারে ক্যালেন্ডার গোল্ডেন স্ল্যামের শিরোপা। চারটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম এবং অলিম্পিক্সে সোনার পদক একই বছরে জিতলে পাওয়া যায় এই শিরোপা। ১৯৮৮ সালে স্টেফি গ্রাফ এই কীর্তি গড়েছিলেন। পুরুষদের টেনিস বিশ্বে এখনও অবধি কেউই এই দুর্লভ রেকর্ড গড়তে পারেননি।
অলিম্পিক্সে সোনার পদক ও ইউএস ওপেন জিততে পারলেই এই গোল্ডেন স্ল্যামের অধিকারী হবেন জোকোভিচ। সেরিনা উইলিয়ামস, আন্দ্রে আগাসি, নাদাল টেনিস কেরিয়ারে গোল্ডেন স্ল্যাম জিতেছেন। তবে একই বছরে এই কীর্তি গড়তে পারেননি তাঁরা।