সসেদোর সঙ্গে মারিয়া। ছবি রয়টার্স
অলিম্পিক্সে হেরে বিদায় নেওয়া যে কোনও ক্রীড়াবিদের কাছেই জীবনের হয়তো সব থেকে দুঃখজনক মুহূর্ত। মারিয়া বেলেন পেরেজ মরিসেরও তাই হয়েছিল। ফেন্সিংয়ে নিজের ইভেন্ট থেকে বিদায় নেওয়ার পর হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। অভিনব উপায়ে সেই দুঃখ ভুলিয়ে দিলেন কোচ।
এই নিয়ে তৃতীয় বার অলিম্পিক্সে নেমেছিলেন মারিয়া। রবিবার হাঙ্গেরির আনা মার্টনের কাছে ১২-১৫ পয়েন্টে হেরে এ বারের মতো শেষ হয়ে যায় তাঁর অলিম্পিক্স অভিযান। সোমবার যখন দেশে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তখনই কোচ গিলের্মো সসেদোর একটি বার্তা দেখে চমকে যান।
একটি কাগজের টুকরোয় নিজের সই পাঠান সসেদো। তার নিচেই ছোট করে ছাত্রীকে লেখেন, ‘এ বার কি তুমি আমাকে বিয়ে করতে চাও’? চিঠি পেয়ে অবাক এবং একই সঙ্গে আপ্লুত হয়ে পড়েন মারিয়া। সম্মতি জানাতে দেরি করেননি। পরে বললেন, “এই চিঠি পেয়ে সব দুঃখ ভুলে গিয়েছি।”
গত ১৭ বছর ধরে মারিয়াকে কোচিং করাচ্ছেন সসেদো। এর আগে ২০১০-এও তাঁর কাছে প্রেমের প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু কেরিয়ারের মধ্যগগনে থাকা মারিয়া পত্রপাঠ খারিজ করে দেন সেই প্রস্তাব। কিন্তু দ্বিতীয় বার আর না করতে পারেননি। তাঁদের প্রেমের খবর গোটা গেমস ভিলেজে জানাজানি হতেই শুভেচ্ছার বন্যা আসতে থাকে।
তবে এই করোনা-কালে বার্তা পাঠানো এতটাও সহজ ছিল না। গেমস ভিলেজের এক স্বেচ্ছাসেবককে একটি কাগজের টুকরো এনে দিতে বলেছিলেন সসেদো। স্বেচ্ছাসেবক প্রথমে রাজি হননি। সসেদো তাঁকে জানান, অলিম্পিক্সের একটি বিশেষ স্মারক তাঁকে উপহার দেবেন। এরপরেই ওই স্বেচ্ছাসেবক কাগজের টুকরো এনে দেন। সেই কাগজের টুকরোই জীবন বদলে দিল সসেদোর।