নজরে: ইউরোয় আজ নামছেন বেলরা।
ইউরো কাপে আজ, শনিবার অভিযান শুরু করতে চলেছেন গ্যারেথ বেলরা। প্রথম ম্যাচেই তাঁর দেশ ওয়েলস মুখোমুখি হচ্ছে সুইৎজ়ারল্যান্ডের।
পাঁচ বছর আগে প্রথম বার ইউরো কাপে যোগ্যতা অর্জন করেই সেমিফাইনালে গিয়েছিল ওয়েলস। কিন্তু এ বার ইউরো শুরুর আগে সেই দেশের ফুটবলপ্রেমীরা আতঙ্কে রয়েছেন অধিনায়ক গ্যারেথ বেলের গোল-খরা নিয়ে।
৩১ বছরের ওয়েলস স্ট্রাইকার শেষ বার দেশের হয়ে গোল করেছিলেন ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে। যদিও সুইৎজ়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে খেলতে নামার আগে বেল তা নিয়ে চিন্তিত নন। তাঁর কথায়, ‘‘এটা কোনও ব্যাপার নয়। নিজে গোল না পেলেও সতীর্থদের দিয়ে গোল করাতে সহায়তা করছি। সেই পরিস্থিতি তৈরি হলে আশা করি আমিও গোল করে দলকে সাহায্য করতে পারব।’’
৯২টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে ৩৩ গোল করা বেল গত ১১ ম্যাচে গোল পাননি। দলের কোচ রবার্ট পেজ়ও বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত নন। তাঁর কথায়, ‘‘পৃথিবী শেষ হয়ে যায়নি। গোল করতে না পারলেও বেল সতীর্থদের গোল করার জন্য বল জোগাচ্ছে।’’
শেষ দুই প্রস্তুতি ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল মাঝমাঠের ফুটবলার অ্যারন রামজ়ি কে। জুভেন্টাসের এই ফুটবলার বৃহস্পতিবারও অনুশীলন করেননি। ওয়েলস কোচ বলছেন, ‘‘অ্যারনকে বিশ্রাম দেওয়া হলেও সুইৎজ়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে আমাদের পরিকল্পনায় প্রবল ভাবে রয়েছে। আপাতত সুস্থই রয়েছে ও। প্রথম ম্যাচে আমরা মাঝমাঠ থেকেই আক্রমণ শানাতে চাই বিপক্ষ বক্সে।’’
গত বার ইউরো কাপে ওয়েলস যখন সেমিফাইনালে উঠেছিল, তখন স্কুলে পড়তেন এই দলের সদস্য ডিলান লেভিট। তাঁর কথায়, ‘‘গত বছর দেশের ম্যাচ স্কুলেই দেখতাম। আর সেখানে না থাকলে বাড়িতে বন্ধুদের সঙ্গে বসেই দেশের ঐতিহাসিক পারফরম্যান্স দেখেছি। এ বার তার পুনরাবৃত্তি করতে চাই।’’
শনিবার সন্ধ্যায় বাকুতে এই ম্যাচ খেলার জন্য লেভিট, বেলদের দিয়ে অতিক্রম করতে হয়েছে ৪,২০০ কিলোমিটার। ওয়েলসের দলের প্রধান শক্তি তারুণ্য। দলে তরুণ ফুটবলারের সংখ্যা বেশি। যা মুগ্ধ করেছে বেলকেও। তিনি বলেছেন, ‘‘দলের তরুণ ফুটবলারদের সঙ্গে কথা হয়েছে। যোগ্যতা অর্জন পর্বে ওরা নিজেদের প্রতিভার পরিচয় দিয়েছে। ওদের নিয়ে আমরা আত্মবিশ্বাসী।’’ যোগ করেছেন, ‘‘তারুণ্যও ও অভিজ্ঞতার মিশেলে তৈরি দল অনেক অঘটন ঘটাতে পারে।
অপর দিকে, সুইৎজ়ারল্যান্ড ডিফেন্ডার রিকার্ডো রদ্রিগেস গ্রুপ ‘এ’-র এই ম্যাচে রক্ষণে কোনও ভুল চান না। তাঁর কথায়, ‘‘প্রথম ম্যাচে জয় পাওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। বলে অত্যন্ত অভিজ্ঞ ও দুর্দান্ত ফুটবলার। তবে আমরা সবাই মিলে কোনও ভুল না করলে, ওকে রুখে দেওয়া সম্ভব। ওকে কোনও মতেই ফাঁকা জায়গা দেওয়া যাবে না।’’
সুইৎজ়ারল্যান্ড ২০২০ সালে কোনও ম্যাচ জিততে না পারলেও, চলতি বছরে তারা পাঁচটি ম্যাচে জয় পেয়েছে। শেষ তিন বড় প্রতিযোগিতায় শেষ ষোলোয় গিয়েছে সুইসরা। তাই এ বার কোয়ার্টার ফাইনাল পাখির
চোখ সুইসদের।