নেতায়-নেতায়: বিরাট কোহালি বনাম স্টিভ স্মিথ
চলতি সিরিজের দিক থেকে দেখতে গেলে ব্যাট হাতে এগিয়ে অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক। পুণেতে সেঞ্চুরি-সহ ৪ ইনিংসে রান ১৭২। কোহালি নিষ্প্রভ। ৪ ইনিংসে করেছেন ৪০।
বিশ্বের সেরা দুই ব্যাটসম্যানের লড়াইকে কেন্দ্র করে তুমুল আগ্রহ ক্রিকেট বিশ্বে। যদি কোহালি রাঁচীতেও ব্যর্থ হন, স্পিনিং পিচে সাফল্যের জোরে এগিয়ে যাবেন স্মিথ।
এই মুহূর্তে বেশি আলোচনায় দুই অধিনায়কের ব্যাটের যুদ্ধ নয়, বাগ্যুদ্ধ। রাঁচীতেও চলছে। কোহালি ডিআরএস নিয়ে অভিযোগ তুলবেন না। স্মিথের জবাব ‘রাবিশ’!
গতির দুনিয়ায়: উমেশ যাদব বনাম প্যাট কামিন্স
স্টার্কের জায়গায় আসা প্যাট কামিন্স ঘণ্টায় ১৪৫-১৫০ কিলোমিটার বেগে বল করতে পারেন। উমেশের গড় গতিবেগ ঘণ্টায় ১৪০-১৪৫ কিলোমিটার।
উমেশ রিভার্স সুইংয়ে সেরাদের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন। কেকেআরে ওয়াসিম আক্রমের শিক্ষায় দীক্ষিত তিনি। কামিন্সের অস্ত্র নতুন বলে সুইং।
এই মুহূর্তে দারুণ ফিট উমেশ। বেঙ্গালুরুতে ছন্দে বল করেছেন। কামিন্সের বরাবরের চিন্তার জায়গা চোট। তবে শেফিল্ড শিল্ডে আট উইকেট নিয়ে এসেছেন।
আরও পড়ুন: নতুন বলে মহড়া স্পিনারদের
স্পিনে-স্পিনে টক্কর: আর. অশ্বিন বনাম নেথান লায়ন
সিরিজে সবচেয়ে বেশি উইকেটের তালিকায় স্টিভ ও’কিফের সঙ্গে যুগ্ম ভাবে শীর্ষে আর অশ্বিন। দু’জনেরই ১৫ উইকেট। ১৪ উইকেট নিয়ে নেথান লায়ন তিনে।
দুই অফস্পিনারের দ্বৈরথ সিরিজের সেরা আকর্ষণ। বেঙ্গালুরুতে প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেট নিয়েছেন অফস্পিনার লায়ন। দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট অশ্বিনের।
অশ্বিনের বৈচিত্র বেশি। হাতে দারুণ লুপ আছে। আর বোলিংয়ের পাশাপাশি দু’জনেই স্লেজিংয়ে নাম কিনেছেন। রাঁচীর ঘূর্ণিতে জমজমাট লড়াইয়ের সম্ভাবনা।