লক্ষ্য: কার্তিকের নজর এখন অস্ট্রেলিয়া সিরিজে। ফাইল চিত্র
কেন তিনি শেষ ওভারের তৃতীয় বলে সিঙ্গল নেননি? নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ টি-টোয়েন্টিতে ভারতের চার রানে হারের জন্য আঙুল উঠেছে দীনেশ কার্তিকের দিকে। যখন তিনি ওই একটা রান নিয়ে উল্টো দিকে থাকা ক্রুণাল পাণ্ড্যকে স্ট্রাইক দিতে চাননি। কিন্তু কেন এমন করেছিলেন তিনি? দেশে ফিরে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে এক সাক্ষাৎকারে কার্তিক বলেছেন, ‘‘আমি ভেবেছিলাম, একটা ছয় মারতে পারব।’’
শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৬। ব্যাট করছিলেন কার্তিক। তাঁর মন্তব্য, ‘‘একটা সময় ১৪৫ রানে ছয় উইকেট পড়ে গিয়েছিল আমাদের। সেখান থেকে আমি আর ক্রুণাল দলকে ভাল জায়গায় নিয়ে আসি। ওই সময় নিউজ়িল্যান্ডের বোলাররা চাপে পড়ে গিয়েছিল। আমরা ভেবেছিলাম, রানটা তুলে দিতে পারব। সত্যি সত্যি ভেবেছিলাম শেষ ওভারে একটা ছয় ঠিক মেরে দিতে পারব।’’
হ্যামিল্টনে ম্যাচ জেতাতে না পারলেও গত এক-দেড় বছরে ভারতীয় ক্রিকেটে নতুন ‘ফিনিশার’ হিসেবে উঠে এসেছেন কার্তিক। তিনি বলছেন, ‘‘মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে বড় শট মারার ব্যাপারে নিজের দক্ষতার ওপর আস্থা রাখতেই হবে। নিজের সঙ্গীর উপরেও ভরসা রাখতে হবে। মানছি, হ্যামিল্টনে সব কিছু ঠিকঠাক হয়নি, কিন্তু সেটা এক-আধটা ম্যাচে হতেই পারে।’’
ম্যাচের পরে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট কি এই ব্যাপারে কোনও কথা বলেছিল আপনার সঙ্গে? কার্তিকের জবাব, ‘‘সবাই জানত, পরিস্থিতিটা কী। এও জানত, আমরা সেরাটাই দিচ্ছি। ওই দিনে আমাদের সেরাটা ম্যাচ জেতানোর পক্ষে যথেষ্ট ছিল না। তবে আমাদের পরিকল্পনা কী ছিল, সেটা বুঝতে পেরেছিল ওরা।’’
কেন শেষ দিকে ব্যাট করার ব্যাপারে তিনি এত আত্মবিশ্বাসী, তাও জানিয়েছেন কার্তিক। বলেছেন, ‘‘এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি করে প্র্যাক্টিস করেছি অনেক। সেই প্র্যাক্টিস থেকেই বিশ্বাস জন্মেছে যে, ওই অবস্থায় ম্যাচ বার করে দিতে পারব। সে দিন পারিনি। সেটা খেলারই একটা অঙ্গ। কিন্তু জানি, নিজের ওপর যত বেশি ভরসা রাখব, তত সাফল্য পাব।’’
সামনে এ বার অস্ট্রেলিয়া সিরিজ। বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পেতে গেলে সেই সিরিজে যে ভাল খেলতে হবে, তা জানেন কার্তিক। নিজের লক্ষ্যের কথাও পরিষ্কার করে দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হিসেবে আপনাকে ধারাবাহিক ভাবে ভাল খেলে যেতে হবে। আপনার পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন উঠবে আর সেই প্রশ্নের জবাব দিয়ে যেতে হবে। আমার লক্ষ্য একটাই। সুযোগ পেলেই সেটা কাজে লাগাতে হবে।’’