একদিনের ক্রম তালিকায় পিছনের দিকে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে রীতিমতো নাস্তানাবুদ হতে হচ্ছে বিরাটদের। প্রথম ম্যাচে জয় এলেও সিরিজের বাকি ম্যাচে তেমন কিছু করতে দেখা যাচ্ছে না ভারতীয় বোলার-ব্যাটসম্যানদের। এই অবস্থায় দেখে নেওয়া যাক চতুর্থ একদিনের ম্যাচে কোন দিকগুলিতে নজর দিলে জয় আসতে পারে বিরাটদের।
সফল হতে হবে ওপেনারদের। রোহিত-ধওয়ানরা সফল না হলে জয় আসা খুবই কঠিন। নিজেদের দায়িত্ব বুঝে বড় ভিত গড়ে দেওয়ার কাজটা দুই ওপেনারকে করতেই হবে। যেটা এখনও পর্যন্ত দেখা যায়নি।
বিরাটের উপর চাপ কমিয়ে তাঁকে আরও খোলামেলা ভাবে খেলতে দিতে হবে। কোহালি দলের প্রধান ব্যাটিং স্তম্ভ। চাপের মুখে বার বার সফল নাও হতে পারেন। ওপেনাররা সফল হলে চাপ কমে যাবে অধিনায়কের।
রান পেতে হবে মিডল অর্ডারকে। রায়ুডু, কেদার, পন্থ, ধোনি, জাদেজাদের যাঁরাই প্রথম একাদশে থাকবেন, তাঁদের রান করতে হবে। সেট হয়ে যাওয়ার পর অবিবেচকের মতো আউট হয়ে দলের সমস্যা বাড়ালে চলবে না।
এখনও পর্যন্ত কুল-চা জুটির কেরামতি দেখা যায়নি। সীমিত ওভারের ম্যাচে কুলদীপ-চহাল সফল না হলে সমস্যা কাটবে না ভারতের।
পেস আক্রমণের প্রধান স্তম্ভ ভুবনেশ্বরকে ফর্মে ফিরতে হবে। গত ম্যাচে বড্ড বেশি রান দিয়ে ফেলেছেন। যা পার্থক্য গড়ে দিয়েছে দুই দলের মধ্যে।
আগের ম্যাচের মতো এ ম্যাচেও বুমরার দিকে তাকিয়ে বিরাটরা। ভুবি-বুমরা সফল হলে বাকি কাজটা সহজ হয়ে যাবে কুলদীপ-চহালের।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের শেই হোপ নতুন আতঙ্ক তৈরি করেছেন। হোপকে থামাতে পারছেন না চহাল-কুলদীপরা। কী ভাবে হোপকে আটকানো যাবে, তার ছক দ্রুত বার করতে হবে শাস্ত্রী-বিরাটদের।
বার বার দেখা যাচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের লোয়ার অর্ডারকে বাগে আনতে পারছেন না ভারতীয় বোলাররা। বুমরা-ভুবিরা যে কাজে অন্যতম দক্ষ, সেই লোয়ার অর্ডারকে মুড়িয়ে দেওয়ার কাজটা আজ তাঁদেরই করতে হবে।