আরও সাফল্য চান সিন্ধু। ফাইল ছবি।
২০১৪, ২০১৮, ২০২২। ব্রোঞ্জ, রুপো, সোনা। কমনওয়েলথ গেমসে মহিলাদের ব্যাডমিন্টন সিঙ্গলসে পিভি সিন্ধুর সাফল্যের গ্রাফ এ ভাবেই উঠেছে। তাতেই আরও বেড়েছে তাঁর সাফল্যের খিদে। এ ছাড়াও রয়েছে বিশ্বচ্যাম্পিয়নের ট্রফি, দু’টি অলিম্পিক্স পদক। সিন্ধু মনে করছেন, তাঁর সাফল্যের এই শুরু। এখনও বহু কিছু অর্জন করার রয়েছে তাঁর।
কমনওয়েলথ গেমসে সিঙ্গলসের অধরা সোনা জয়ের আনন্দ গোপন না করলেও সিন্ধুর চোখ এখন প্যারিস অলিম্পিক্সে। রিওতে ব্রোঞ্জ, টোকিয়োয় রুপো জিতেছেন। প্যারিসে কি সোনা আসবে? প্রত্যয়ী সিন্ধু।
হায়দরাবাদের তরুণী বলেছেন, ‘‘অর্জন করার মতো আরও অনেক কিছু রয়েছে আমার। বলতে পারেন এটা সবে শুরু। অনেক কিছু শেখা বাকি। বিশ্বাস করি আরও অনেক পদক জিততে পারি। কাজটা সহজ নয় জানি। তবু আরও কিছু অর্জন করতে চাই। এখন বিশ্বের প্রথম দশ জন খেলোয়াড়ের মান প্রায় সমান। তাই কোনও ম্যাচই হালকা ভাবে নেওয়া যায় না।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘কমনওয়েলথ গেমসের দিকে তাকালে দেখবেন, আমাদের বেশ কয়েকটা দুর্দান্ত সাফল্য রয়েছে। আমি নিশ্চিত আরও পদক আসবে আগামী দিনে। আমরা ভালই করছি। আরও উন্নতি দেখতে পাবেন। আশা করছি, প্যারিস অলিম্পিক্সে আমরা একাধিক পদক জিততে পারব।’’
বার্মিংহামের সাফল্যের কৃতিত্ব সমর্থকদের দিয়েছেন তিনি। সিন্ধু বলেছেন, ‘‘প্রথম দিন থেকেই দর্শকদের প্রচুর সমর্থন পেয়েছি। বহু মানুষ আমাকে উৎসাহ দিয়েছেন। ওঁদের উৎসাহ আমাকে ভীষণ উজ্জীবিত করেছে। ওঁরা সমানে ‘সিন্ধু সিন্ধু’ বলে চিৎকার করেছেন। ওঁরাই আমার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছেন। দর্শকরা আমাকে খুবই অনুপ্রাণিত করেছেন।’’
কমওয়েলথ গেমসের অভিজ্ঞতা নিয়ে বলেছেন, ‘‘প্রতিটা দিন নতুন। প্রতি দিনই নতুন কিছু শেখায়। শেখার অভ্যাস বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। যেমন রোজ অনুশীলন করতে হয়। প্রতিপক্ষ অনুযায়ী কৌশল বদল করতে হয়। আমার খেলাতেও পরিবর্তন আনতে হয়। খেলায় অল্প কিছু বদল করেছিলাম। সেটা কাজে লেগেছে।’’
আগ্রাসী ব্যাডমিন্টন খেলাই পছন্দ সিন্ধুর। বলেছেন, ‘‘আমার উচ্চতা ভাল। শাটলের কাছাকাছি দ্রুত পৌঁছতে পারি। আক্রমণাত্মক খেললে প্রতিপক্ষ বিপদে পড়ে যায়। তাই আমার বিরুদ্ধে খেলার সময় সকলেই চেষ্টা করে আমাকে রক্ষণাত্মক রাখতে। ম্যাচ চলার সময় অনেক কিছু মনে রাখতে হয়। অনেক ম্যাচ অত্যন্ত ধৈর্য নিয়ে খেলতে হয়।’’
কমনওয়েলথের পদক জয় নিয়ে সিন্ধু বলেছেন, ‘‘দীর্ঘ বিমানযাত্রায় আমি খুব ক্লান্ত। হ্যাঁ, লম্বা প্রতীক্ষার পর সোনা জিততে পেরেছি। আমি খুব খুশি। আগে সুযোগ পেয়েও সোনা জিততে পারিনি। চার বছর অন্তর কমনওয়েলথ গেমস হয়। দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারাই বিরাট সম্মানের। এই পদকটা জিতে দারুণ খুশি হয়েছি।’’