ফাইল চিত্র।
ফের সেই এক প্রহসন। ঘটা করে ভিডিয়ো কনফারেন্স করেও ক্রিকেটীয় সিদ্ধান্ত হল না। আইসিসি বৈঠকে বৃহস্পতিবার আলোচনা হয়েও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে এসপার-ওসপার কিছু হল না। ক্রিকেট ভক্তরা সেই অপেক্ষাতেই থেকে গেলেন জানার জন্য যে, অক্টোবর-নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আদৌ হবে কি হবে না।
এমনিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ যে এ বছরে করা প্রায় অসম্ভব, তা এখন সাধারণ জ্ঞানের পর্যায়ে পড়ছে। তার জন্য কোনও ঘটা করে টেলিকনফারেন্স করারও প্রয়োজন পড়ে না। অথচ, এ নিয়ে তিন-তিন বার সভা ডেকেও ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা বিশ্বকাপ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারল না। ওয়াকিবহাল মহলের এক কর্তা বললেন, ‘‘অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট বোর্ড পর্যন্ত বলে দিয়েছে, তাদের দেশে এ বছরে বিশ্বকাপ করার ভাবনা অবাস্তব। তার পরেও এই বিলম্ব নীতি হাস্যকর।’’ শুধু অস্ট্রেলিয়াই হাল ছেড়ে দেয়নি, অন্যান্য দেশের বোর্ড কর্তারাও বলেছেন, বিশ্বকাপ হওয়ার সম্ভাবনা যখন প্রায় নেই, আর অপেক্ষা করে লাভ কী? আইসিসি অবশ্য তার পরেও মানতে নারাজ।
ক্রীড়া দুনিয়ায় সব বিশ্বমানের প্রতিযোগিতা স্থগিত রাখা হয়েছে। যেমন, অলিম্পিক্স, কোপা আমেরিকা বা ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ। একমাত্র কুড়ি ওভারের ক্রিকেট বিশ্বকাপ নিয়ে টালবাহানা অব্যাহত। অনেকেই মনে করছেন, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে শশাঙ্ক মনোহরের নেতৃত্বাধীন আইসিসির তিক্ত সম্পর্ক এর কারণ।
বিশ্বকাপ নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত ভারতীয় বোর্ড বেশি করে চাইছে, কারণ সে ক্ষেত্রে তারাও আইপিএল নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারে। বিশ্বকাপ না-হলে ফাঁকা হওয়া অক্টোবর-নভেম্বরে আইপিএল করার কথা ভেবে রেখেছে ভারতীয় বোর্ড। আর আইসিসি বিলম্ব নীতি নিয়ে চলেছে যাতে ভারতীয় বোর্ডও সিদ্ধান্ত নিতে অসুবিধায় পড়ে। বৃহস্পতিবারের সভায় তা হলে হলটা কী? শোনা যাচ্ছে, মনোহরের পরে নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচনের প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনায় ঠিক হল যত শীঘ্র সম্ভব নির্বাচন শেষ করে ফেলা হবে।
মনোহরদের কে বোঝাবে, ভক্তদের আগ্রহ খেলা নিয়ে, খেলার প্রশাসকদের নিয়ে নয়।