তিন ফর্ম্যাটে নেতৃত্ব নিয়ে কোহালি

চাপ তো বটেই, একই সঙ্গে ব্যাপারটা মজারও

বাইশ গজে ব্যাট হাতে তাঁর কাছে কোনও কিছু অসম্ভব নয় বলে ক্রিকেটমহলের অনেকেই মনে করেন। কিন্তু তিনি, বিরাট কোহালি স্বয়ং কখনও কল্পনাও করেননি, এমন দিন তাঁর ক্রিকেট জীবনে আসবে!

Advertisement
পুণে শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০১৭ ০৩:৫৪
Share:

পূর্বসূরির সঙ্গে। প্র্যাকটিসে কোহালি-ধোনি আলোচনা।

বাইশ গজে ব্যাট হাতে তাঁর কাছে কোনও কিছু অসম্ভব নয় বলে ক্রিকেটমহলের অনেকেই মনে করেন। কিন্তু তিনি, বিরাট কোহালি স্বয়ং কখনও কল্পনাও করেননি, এমন দিন তাঁর ক্রিকেট জীবনে আসবে!

Advertisement

ক্রিকেটের তিন ফর্ম্যাটেই ভারত অধিনায়ক।

যেটা বিরাটের কথায় ‘অপার্থিব’!

Advertisement

ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ওয়ান ডে-তে নামার চার দিন আগে পুণেতে পৌঁছে আজ শহরের এক নতুন শপিং মল উদ্বোধন করে বিরাট কোহালি উপস্থিত মিডিয়াকে বলে দেন, ‘‘হ্যাঁ, এটা আমার কাছে অপার্থিব ব্যাপার। কোনও দিন ভাবিনি আমার জীবনে এ রকম একটা বিরাট দিন আসবে।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘ভারতীয় দলে যখন সুযোগ পেয়েছিলাম, আমার সব সময় টার্গেট থাকত ভাল পারফর্ম করা। যাতে আরও বেশি সুযোগ পাই। সলিড একটা ক্রিকেট জীবন যেন গড়ে তুলতে পারি। দলের প্রতিটা জয়ে যেন কিছু না কিছু অবদান থাকে আমার।’’

যুবরাজ সিংহদের নিয়ে এ দিনই অনুশীলনে নেমে পড়ার পাশাপাশি বিরাট ‘টক শো’য়ে মন্দিরা বেদীর নানা প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছেন। যেখানে ভারতের টেস্ট-ওয়ান ডে-টি-টোয়েন্টি ক্যাপ্টেন বলেন, ‘‘আমি মনে করি সব কিছুই ঈশ্বর নির্দিষ্ট। আপনার জীবনে যা-ই ঘটুক, তার পিছনে একটা না একটা কারণ থাকবেই। আর সেই ঘটনাটা আপনার জীবনে সঠিক সময়ে ঘটবে।’’ বিরাট সঙ্গে আরও বলেছেন, ‘‘এর সঙ্গে একটা জিনিসও অবশ্য আপনার জীবনে আসবে। দায়িত্ব। যেটা আমাকে অবশ্য আরও ভাল ক্রিকেটার তৈরি করেছে। মানুষ হিসেবে আরও উন্নত করেছে। এই সব অভিজ্ঞতা থেকে আমি জীবন সম্পর্কে প্রচুর শিক্ষা পেয়েছি।’’

জাতীয় দলের নেতৃত্বের দায়িত্ব পেয়ে কি অবাক হয়েছিলেন? তিন ফর্ম্যাটেই ভারতীয় দলের অধিনায়কত্ব করাটা কি চাপের? বিরাটের জবাব, ‘‘অবাক হইনি। যে-হেতু টিমের এক জন খেলোয়াড় হিসেবেও আমি সব সময় চেয়েছি নিজের চিন্তাভাবনার ইনপুটস মাঠে অধিনায়ককে দিতে। ফিল্ডিং করতে করতে সর্বদা ভাবতাম ম্যাচ নিয়ে। আর চাপের প্রশ্ন? আমি বলব না যে, কাজটা চাপের নয়। তবে একইসঙ্গে মজারও। আমার মতে ক্যাপ্টেন্সি হল, আপনার চারধারের লোকেদের শক্তি-দুর্বলতাকে ঠিকঠাক বোঝা।’’ সিনিয়র প্লেয়ার (পড়তে হবে ধোনি) থাকা দলকে নেতৃত্ব দেওয়া বেশি কঠিন কি না, প্রশ্নে বিরাট বলছেন, ‘‘এটা বরং আমার কাছে সম্মানের। আমাদের ড্রেসিংরুমে পারস্পারিক শ্রদ্ধার পরিমাণ প্রচুর।’’

যুবরাজের সঙ্গে আড্ডা। বুধবার পুণেতে।-পিটিআই

বিরাট কোহালি ২০১৯ বিশ্বকাপে ভারতের অধিনায়কত্ব করা নিয়ে উত্তেজিত বোধ করছেন কি না জানতে চাইলে এ দিন তিনি বলেছেন, ‘‘বিশ্বকাপ এখনও অনেক দূরে। ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দেওয়া আমার কাছে সব সময় একটা বিরাট সম্মান। বিশ্বকাপ পর্যন্ত যদি আমি অধিনায়ক থাকি, তা হলে তখনও সেটা হবে আমার কাছে বিরাট সম্মানের।’’

বিরাটকে শেষ তিনটে প্রশ্ন ছিল অবশ্য অধিনায়কত্ব প্রসঙ্গের বাইরে। যেমন সচিন তেন্ডুলকরের থেকে সেরা পরামর্শ কী পেয়েছিলেন?

বিরাট: নিজের খেলা নিয়ে আমি যখন ওঁর কাছে গিয়েছিলাম, প্রথমেই বলেছিলেন, নিজের ব্যাটিংয়ের উপর বিশ্বাস রেখো। শুধু তা-ই নয়, যে ভাবে ম্যাচের জন্য নিজেকে তৈরি করো, সেটার উপরও পূর্ণ বিশ্বাস রেখো। অন্য কাউকে ফলো করো না। আর সত্যি বলতে কী, ওই পরামর্শ আমাকে শুধু সাহায্যই করেনি, তার পর থেকে আমি নেট আর ক্রিজে দু’জায়গাতেই স্বচ্ছন্দ বোধ করতে শুরু করেছিলাম।’’

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিরাটের দু’টো চিরস্মরণীয় মুহূর্ত কী?

বিরাট: টিমের জয়ের বাইরে ব্যক্তিগত চিরস্মরণীয় মুহূর্তে আমি বিশ্বাস করি না। তবু যদি সে রকম দু’টো ইনিংসের কথা বলতে হয়, একটা হল এই ইংল্যান্ড সিরিজে মুম্বই টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি। অন্যটা হল, গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মোহালিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলা আমার ইনিংসটা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement