আট বছর আগে কলকাতায় যে বার শেষ সন্তোষ ট্রফি হয়, সে বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলা। পঞ্জাবকে হারিয়ে। এ বার রঞ্জন চৌধুরীর টিম সেটা বজায় রাখতে পারবে কি না তা জানা যাবে ১৯ মার্চ থেকে। কারণ এই দিনই মূলপর্বে মণিপুরের সঙ্গে গ্রুপ লিগের উদ্বোধনী ম্যাচ খেলতে নামবে বাংলা।
মূলপর্বের সূচি বুধবার প্রকাশিত হলেও বাংলার টিম গড়া নিয়ে অবশ্য সমস্যা শুরু হয়েছে। এমনিতে আই লিগের প্রথম ডিভিশন ও আইএসএলের কোনও ফুটবলার নেওয়া যায় না টিমে। তার উপর মহমেডানের যে ছয়-সাত জন ফুটবলার দলে রয়েছেন তাঁরা আই লিগের দ্বিতীয় ডিভিশনের ম্যাচ খেলবেন। চার জন ফুটবলার আন্তঃ রেলের ম্যাচ খেলতে চলে যাচ্ছেন। শুক্রবার থেকে অনুশীলন শুরু হবে বাংলার। দেখার, ক’জনকে পাওয়া যায়। মণিপুর ছাড়াও বাংলার গ্রুপে রয়েছে চণ্ডীগড়, কেরল, মহারাষ্ট্রও। অন্য গ্রুপে আছে গোয়া, মিজোরাম, পঞ্জাব, কর্নাটক, ওড়িশা। প্রতিটি গ্রুপ থেকে দু’টি করে দল যাবে শেষ চারে। ৩০ ও ৩১ মার্চ দুটি সেমিফাইনাল। মোহনবাগান মাঠে হতে পারে শেষ চারের খেলা। ফাইনাল ১ এপ্রিল। গত বারের চ্যাম্পিয়ন বাংলার সঙ্গে মহারাষ্ট্রের ম্যাচ ২১ মার্চ। বাকি দুই ম্যাচ ২৫ মার্চ (চণ্ডীগড়) এবং ২৭ মার্চ (কেরল)। ঠিক হয়েছে, মোহনবাগান, রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়াম, হাওড়া স্টেডিয়াম ও কল্যাণী স্টে়ডিয়ামে হবে টুর্নামেন্ট। ফাইনাল যুবভারতীতে। আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে বাংলার যে দল ছিল, সেটাই থাকছে। নতুন চার-পাঁচ জনকে ডাকা হতে পারে।’’