হেরে হতাশ আফগানিস্তানের কোচ জোনাথন ট্রট (বাঁঁ দিকে) এবং অধিনায়ক রশিদ খান। ছবি: পিটিআই।
আরও এক বার বিতর্কে পিচ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আরও একটি মাঠের পিচ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম আফগানিস্তান ম্যাচের পিচ নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন রশিদ খানদের কোচ জোনাথন ট্রট।
ত্রিনিদাদের মাঠে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৫৬ রানে অল আউট হয়ে যায় আফগানিস্তান। ৯ উইকেটে ম্যাচ জিতে ফাইনালে ওঠে দক্ষিণ আফ্রিকা। বিদায় নেয় আফগানিস্তান। কিন্তু হার-জিত ছাপিয়ে সামনে আসছে মাঠের পিচ।
খেলা শেষে ট্রট বলেন, “খুব বেশি অভিযোগ করে নিজেকে বিপদে ফেলতে চাইছি না। কিন্তু একটা কথা বলতে চাই। বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল এই ধরনের পিচে করা উচিত নয়। দু’দলের কাছেই সমান সুবিধা থাকা উচিত। আমি বলছি না, একেবারে পাটা উইকেট করা উচিত। কিন্তু এমন পিচে খেলানো উচিত যেখানে সামনের পায়ে খেলতে গিয়ে ব্যাটারকে ভাবতে হয় না যে বল মাথার উপর দিয়ে বেরিয়ে যাবে। ব্যাটারদের একটু হলেও আত্মবিশ্বাস দেওয়া উচিত।”
আফগানিস্তান ইনিংসের প্রথম দু’টি বলেই পিচের চরিত্র বোঝা গিয়েছিল। প্রথম বলটি প্রায় গড়িয়ে যায়। দ্বিতীয় বল প্রায় একই জায়গায় পড়ে লাফিয়ে ওঠে। টি-টোয়েন্টিতে এই ধরনের উইকেট করা উচিত নয় বলে মনে করেন ট্রট। তিনি বলেন, “টি-টোয়েন্টিতে সবাই আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে চায়। কেউ নিজের উইকেট বাঁচানোর চেষ্টা করে না। এই ধরনের উইকেটে বোলারেরা অনেক বেশি সুবিধা পায়। তবে স্বীকার করতে হবে যে দক্ষিণ আফ্রিকা আমাদের থেকে ভাল বল করেছে। ওরা উইকেটে বল রেখেছে। বাকি কাজটা পিচ করে দিয়েছে।”
ফাইনালে উঠলেও পিচ নিয়ে খুব একটা খুশি হতে পারছেন না দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক আইডেন মার্করামও। তাঁর মতে, গোটা বিশ্বকাপ জুড়েই এই পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে তাঁদের। মার্করাম বলেন, “আমরা শুরু থেকেই বেশ কিছু কঠিন পিচে খেলেছি। নিউ ইয়র্কেও কঠিন পিচ ছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়েও বেশি কয়েকটা মাঠে ব্যাট করা কঠিন। আমরা খুশি যে ত্রিনিদাদের পিচে আমাদের আর খেলতে হবে না।”