বিতর্ক এড়াতে তৃতীয় আম্পায়ারই ‘নো বল’ ধরুক, পরামর্শ গিলক্রিস্টের

‘টি-টোয়েন্টি লটারি খেলা, তবে বিশ্বকাপে ভারত এগিয়ে’

ভারত ছাড়া নিজের দেশ অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড এবং নিউজ়িল্যান্ডকে এগিয়ে রাখছেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০১৯ ০৪:৪৪
Share:

শিক্ষক: মুম্বইয়ে ক্রিকেট কোচিং ক্লিনিকে ব্যস্ততা গিলক্রিস্টের। পিটিআই

অ্যাডাম গিলক্রিস্ট মনে করেন, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট অনেকটা লটারির মতো। তা সত্ত্বেও আগামী বছর তাঁদের দেশে কুড়ি ওভারের বিশ্বকাপে ভারতকেই ফেভারিট ধরছেন প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট তারকা।

Advertisement

ভারত ছাড়া নিজের দেশ অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড এবং নিউজ়িল্যান্ডকে এগিয়ে রাখছেন তিনি। ভারত সফরে এসে একটি প্রচারমূলক অনুষ্ঠানে গিলক্রিস্ট বলেছেন, ‘‘আমার মনে হয় ভারত সেমিফাইনাল বা এমনকি, ফাইনালেও খেলতে পারে। টুর্নামেন্ট কে জিতবে, সেই পূর্বাভাস আমার পক্ষে করা সম্ভব নয়। তবে সাধারণ ভাবে মনে হয় ভারত, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজ়িল্যান্ড সেমিফাইনাল খেলবে।’’ অবশ্য দ্রুত মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘‘পাকিস্তান কুড়ি ওভারের ফর্ম্যাটে র‌্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বরে থাকা দল। তাই ওদেরও পুরোপুরি হিসাবের বাইরে রাখা যাবে না।’’ যোগ করছেন, তিনি নিজের ফেভারিট দলগুলির নাম জানালেও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যে কোনও সময় যা কিছু ঘটতে পারে। ‘‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট অনেকটা লটারির মতো। তাই আগে থেকে বিজয়ী বেছে নেওয়া কঠিন। যত ক্ষণ না জয়সূচক রান নেওয়া হচ্ছে, এই ফর্ম্যাটে কে জিতবে, বলা যায় না।’’

আগামী বছর ১৮ অক্টোবর থেকে ১৫ নভেম্বর পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে অস্ট্রেলিয়ায়। পুরো প্রতিযোগিতা ৪৫ ম্যাচের। তার আগে গিলক্রিস্টের দেশেই ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে মহিলাদের কুড়ি ওভারের বিশ্বকাপ। যার ফাইনাল হবে ৮ মার্চ মেলবোর্নে আন্তর্জাতিক মহিলা দিবসে। দু’টি বিশ্বকাপ খেলা হবে অস্ট্রেলিয়ার আটটি শহরে। অ্যাডিলেড, ব্রিসবেন, ক্যানবেরা, জেলং, হোবার্ট, মেলবোর্ন, পার্‌থ এবং সিডনিতে। এ বারে পুরুষ ও মহিলাদের বিশ্বকাপ আলাদা সময়ে করা হচ্ছে।

Advertisement

নিজের দেশে বিশ্বকাপ ছাড়াও গিলক্রিস্টের নজরে অবশ্য অন্য কিছুও রয়েছে। যেমন, আইপিএলে এই প্রথম ‘নো বল’ ধরার জন্য অতিরিক্ত আম্পায়ার রাখার কথা ভাবা হচ্ছে। প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান মনে করছেন, তৃতীয় আম্পায়ারেরই উচিত ‘নো বল’ ঠিক মতো ধরা। তবে তার মানে এই নয় যে, তিনি চতুর্থ আম্পায়ার আসার বিপক্ষে। গিলক্রিস্ট বলছেন, ‘‘মাঠের আম্পায়ারদের পক্ষে নো বল ধরা বেশ কঠিন। গত বছরই তো রিপ্লে দেখার সময় বোঝা গেল, নো বল ছিল। তাই আমার মনে হয় প্রযুক্তির সাহায্যটা নিতে দেওয়া উচিত। তবে তৃতীয় আম্পায়ারও তো কাজটা করতে পারেন। তাই আমার মনে হচ্ছে, চতুর্থ আম্পায়ারের কি সত্যিই দরকার আছে?’’ দ্রুত অবশ্য যোগ করছেন, ‘‘তবে আমি মনে করি, সঠিক সিদ্ধান্তটা হওয়া দরকার। তাতে যদি চতুর্থ আম্পায়ার আনতে হয় শুধু এই বিশেষ কাজের জন্য, ঠিক আছে।’’ চতুর্থ আম্পায়ার এনে ‘নো বল’ ধরার প্রক্রিয়া কি খেলা মন্থর করে দিতে পারে? জিজ্ঞেস করায় গিলক্রিস্টের জবাব, ‘‘সেটা মনে হয় না। আমি টিভি সম্প্রচারের সঙ্গে যুক্ত। আম্পায়ারেরা টিভি স্ক্রিনের সামনে বসে পাঁচ সেকেন্ডে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।’’

গত বছর আইপিএলে ‘নো বল’ কেলেঙ্কারি নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছিল। বিরাট কোহালির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে পরিষ্কার ‘নো বল’ করেন লাসিথ মালিঙ্গা। কিন্তু আম্পায়ার ধরতে পারেননি। কোহালিকে তা নিয়ে আম্পায়ার এস রবির সঙ্গে উত্তপ্ত তর্ক জুড়তেও দেখা গিয়েছিল। ম্যাচের উপরও সেই ভুলের বড় প্রভাব পড়েছিল। মনে করা হচ্ছে, এই ধরনের ভুল থেকে আইপিএল-কে রক্ষা করতেই চতুর্থ আম্পায়ার আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। যাঁর কাজ হবে শুধুই বোলারদের পা লক্ষ্য করা। যাতে একটিও ‘নো বল’ চোখ না এড়ায় এবং অবৈধ ভাবে পাওয়া কোনও উইকেট ম্যাচের ভাগ্য ঠিক করে দিয়ে চলে যেতে না পারে। শোনা যাচ্ছে, ঘরোয়া ক্রিকেটে পরীক্ষা করে সন্তুষ্ট হলে তবেই চতুর্থ আম্পায়ার নিয়োগ করা হবে আইপিএলে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement