এই ভাবেই বাউন্ডারি লাইনে পা দিয়ে বল ফেরত পাঠান মেহদি হাসান। ছবি: টুইটার।
ভুল করে আউট না দেওয়া বা নো বলে আউট দেওয়া— ম্যাচে আম্পায়ারদের ভুল এবং তা থেকে ম্যাচের রং বদলানোর ঘটনা প্রচুর। প্রযুক্তি এবং তৃতীয় আম্পায়ারের যুগে এই সমস্যা কিছুটা হলেও কমেছে। কিন্তু আম্পায়ার যদি তৃতীয় আম্পায়ারের পরামর্শই না নেন? তা হলে কী হতে পারে, তার প্রমাণ পাওয়া গেল সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে।
বৃহস্পতিবার সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির ম্যাচে খেলা চলছিল হায়দরাবাদ বনাম কর্নাটকের মধ্যে। এই ম্যাচে হায়দরাবাদকে ২ রানে হারিয়ে দেয় কর্নাটক।
ম্যাচটিতে প্রথম ব্যাট করে কর্নাটক। মহম্মদ সিরাজের বল কর্নাটক ওপেনার করুণ নায়ার মিড উইকেটে ফ্লিক করলে বাউন্ডারি লাইনে পা দিয়ে সেই বল তুলে ফেরত পাঠান হায়দরাবাদের মেহদি হাসান। এরই মধ্যে দু’রান নিয়ে নেন করুণ। ভিডিও রিপ্লেতে স্পষ্ট ভাবেই দেখা যায় বাউন্ডারি লাইনে পা ঠেকেছিল মেহদির। তবে, মাঠে উপস্থিত আম্পায়ার উল্লাস গান্ধে থার্ড আম্পায়ারের পরামর্শ না নিয়েই দু’রান দেন কর্নাটককে। কর্নাটক ইনিংস শেষ হয় ২০৩ রানে।
হায়দরাবাদের ইনিংস শুরু হতেই কর্নাটকের অধিনায়ক বিনয় কুমার আম্পায়ারের সঙ্গে এই বিষয় নিয়ে কথা বলেন। তখন কর্নাটকের ইনিংসে আরও দুই রান জুড়ে দেন অনফিল্ড আম্পায়ার। অর্থাত্ হায়দারাবাদের টার্গেট দাঁড়ায় ২০৬ রানের। আম্পায়ারের এই সিদ্ধান্তে হায়দরাবাদ অধিনায়ক অম্বাতি রায়ুডু তখনই অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: স্পিন ছেড়ে মিডিয়াম পেসার অশ্বিন!
আরও পড়ুন: এই ভারতীয় দলে পরিবর্তন আনাটা বোকামি: ডোনাল্ড
ম্যাচটি হায়দরাবাদ হেরে যায় দু’রানে। ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২০৩ রান তোলে অম্বাতি রায়ুডুর দল।
কর্নাটককে পরে দু’রান দেওয়ার বিষয় হায়দরাবাদ অধিনায়ক বলেন, “ইনিংসের শুরুতেই আমাদের একটা সমস্যা তৈরি হয়েছিল। আমি আম্পায়ারকে গিয়ে শুধু বলি যে, আমরা ব্যাট করতে নামার সময় আপনি এ ভাবে রান বদলাতে পারেন না। আমরা আমাদের লক্ষ্য অনুযায়ী ২০৪ রানের জন্য ব্যাট করতে নেমেছি।”
রায়ুডু আরও বলেন, “২০৩ রানে আমাদের ইনিংস শেষ হওয়ায় আমরা সুপার ওভার চালু করার জন্য আবেদন করি। আমরা জানাই যে ম্যাচ এখনও শেষ হয়নি। এর পর আমরা ওয়ার্ম আপ করাও শুরু করি। কিন্তু আম্পায়ার আর সুপার ওভারে ম্যাচ নিয়ে যেতে রাজি হননি। আমাদের জানিয়ে দেওয়া হয় আমরা দু’রানে হেরে গিয়েছি।”
এই ম্যাচের ঘটনাকে সামনে রেখে টুইট করে ভারতীয় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থাও। বিসিসিআই-এর পক্ষ থেকে টুইটে জানানো হয়, তারা ম্যাচ রেফারির রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছেন। তার পরই বিসিসিআই-এর নিয়ম অনুযায়ী উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।