একান্ন বছর আগে চুনী গোস্বামীর সঙ্গে মাঠে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়। এত দিন পরে সিন্দুক-বন্দি সেই ঘটনার রহস্য ফাঁস করলেন লাল-হলুদের প্রাক্তনী।
‘‘১৯৬৪-র শিল্ড ফাইনাল। চুনীর থেকে একটা বল কেড়ে নিয়ে এগোচ্ছি। হঠাৎ দেখি চুনী পিছনে লাথি মারছে। হ্যাঁ, একেবারে পিছনে! একবার মারল। কিন্তু দ্বিতীয় বার আর সহ্য করতে পারিনি। সটান ওর পা ধরে টানতে টানতে সাইডলাইনের ধারে নিয়ে যাই। জেদ চেপে গিয়েছিল। আমাকে লাথি মারছে মানে তো ইস্টবেঙ্গলকেই অসম্মান করছে! পরক্ষণেই মনে পড়ে গেল, আশুতোষ কলেজে ওর আর আমার রোল নম্বর পরপর, তখন ছেড়ে দিলাম। এমনকী ঘটনাটা নিয়ে পরে কোনও দিন আমাদের দু’জনের কথাও হয়নি।’’ বলছিলেন চন্দনবাবু।
সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও টাইম মেশিনে চেপে ফিরে গেলেন সত্তরের দশকে। ‘‘ইস্টবেঙ্গলে খেলার কোনও ইচ্ছেই ছিল না আমার। কিন্তু জীবনদা-পল্টুদা আমাকে এত আন্তরিক ভাবে খেলার প্রস্তাব দিয়েছিলেন, ‘না’ করতে পারিনি। সোজা আমার মা-র কাছে চলে এসেছিলেন দু’জন। তার পরে টানা চোদ্দো বছর খেলি এই ক্লাবে। এগারো বছর ক্যাপ্টেন ছিলাম।’’
আরও বললেন, ‘‘একবার আমার ব্যাট ভেঙে গিয়েছিল। সেই সময়ের ক্লাব সচিব নৃপেন দাসের কাছে নতুন ব্যাট চেয়েছিলাম। তাতে ডাক্তারদা আমাকে একটা বাংলা লেখা ইংরেজিতে অনুবাদ করতে বলেছিলেন। প্রথমে ভেবেছিলাম এটা কি স্কুল না কি? পরে অবশ্য আমার কাজের যোগ্য দাম পেয়েছিলাম। যা চেয়েছিলাম তার চেয়ে অনেক ভাল ব্যাট তিনি দিয়েছিলেন আমাকে।’’
ছোট-ছোট গল্প। হরেক স্মৃতিচারণ। বৃহস্পতিবার লাল-হলুদ তাঁবু যেন অনেক অজানার সন্ধান দিয়ে গেল! ১ অগস্ট ইস্টবেঙ্গল দিবসে চন্দন-সম্বরণ, দুই বন্দ্যোপাধ্যায়কে জীবনকৃতি সম্মান দেবে লাল-হলুদ। এ দিনই অবশ্য আরও একটা বড় উদ্যোগ নিল ইস্টবেঙ্গল। প্রাক্তন তারকা ফুটবলার প্রশান্ত সিংহের চিকিৎসার জন্য এক লক্ষ টাকার অনুদান ষোষণা করল ক্লাব। এ দিকে, ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন ক্রিকেটার এবং কোচ প্রণব নন্দীকেও সংবর্ধনা দেওয়া হবে।