সীমান্ত সন্ত্রাস বন্ধ না করলে পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও ক্রিকেট সিরিজ সম্ভব নয়। নতুন বছরের শুরুতেই সংসদে তা পরিস্কার জানিয়ে দিলেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।
যার অর্থ, চলতি বছরেও ভারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট সিরিজের সম্ভাবনা একদমই ক্ষীণ। এ দিনই বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে জুড়ে থাকা সংসদীয় পরামর্শদাতা কমিটির এক আলোচনা সভায় বিদেশমন্ত্রী বলে দেন, ‘‘ক্রিকেট ও সন্ত্রাস কখনও হাতে হাত রেখে চলতে পারে না।’’ বৈঠকে হাজির ছিলেন বিদেশমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর এবং বিদেশ সচিব কে জয়শঙ্কর। সেখানেই সুষমা স্বরাজ বলেন, সম্প্রতি ভারতে নিযুক্ত পাক রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে তাঁর। সেখানেই পাকিস্তানের তরফে জানতে চাওয়া হয়েছিল নিরপেক্ষ কোনও জায়গায় ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট সিরিজ শুরু করা সম্ভব কি না। জবাবে ভারতের বিদেশমন্ত্রী কড়া ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, ‘‘সীমান্ত সন্ত্রাস চলছেই। একই সঙ্গে সীমান্তের ওপার থেকে যখন তখন ছুটে আসছে গোলা-গুলি। সেগুলো বন্ধ না হলে কোনও মতেই ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট সিরিজ হওয়া সম্ভব নয়।’’
এ দিকে রাজনৈতিক স্তরে ভারত-পাকিস্তান সিরিজ হওয়া নিয়ে ধোঁয়াশা, তখন দু’দেশের ক্রিকেটীয় স্তরে কিন্তু সৌহার্দ্য চলছেই। এ দিনই পাকিস্তানের ক্রিকেট উৎকর্ষ বাড়াতে ভারতের উদাহরণ টানলেন প্রাক্তন পাক অধিনায়ক রামিজ রাজা। তিনি বললেন, ‘‘পাকিস্তান ক্রিকেট দলের শক্তি বাড়াতে পাক বোর্ডের উচিত অনুর্ধ্ব-১৯ স্তরে রাহুল দ্রাবিড়ের মতো একজন কোচ নিয়োগ করা।’’ পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে পরামর্শ দিতে গিয়ে রামিজ রাজা এ দিন বলেন, ‘‘পাক দলকে মজবুত করতে ভারতের মডেলকে অনুসরণ করুক পাক বোর্ড। এক্ষেত্রে এমন কোনও বিখ্যাত প্রাক্তন ক্রিকেটারকে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের দায়িত্ব দেওয়া হোক খুদে ক্রিকেটারদের কাছে যে শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব। যে রকম ভারত নিযুক্ত করেছে রাহুল দ্রাবিড়কে।’’
আরও পড়ুন: ‘কেপটাউনে ব্রহ্মাস্ত্র সেই অশ্বিনই’
প্রাক্তন এই পাক অধিনায়কের মতে, সিনিয়র দলের সাফল্যের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ যুব দল থেকে প্রতিভা খুঁজে তাদের বড়দের দলে তুলে আনা। এই প্রসঙ্গে রামিজ আরও বলেন, ‘‘প্রতিভা খুঁজে তাঁকে ঘসেমেজে সিনিয়র টিমে পৌঁছে দেওয়াটা ট্রফি জেতার মতোই গুরুত্বপূর্ণ। ভারত এই জায়গায় লাভবান। কারণ, ওরা রাহুল দ্রাবিড়ের মতো একজন ক্রিকেটারকে ব্যবহার করছে। যে জুনিয়রদের কাছে শ্রদ্ধেয় ক্রিকেটার।’’