প্রাক্তন বোর্ড প্রেসিডেন্ট শ্রীনিবাসন। ছবি: রয়টার্স
অসহযোগিতা এবং বিশৃঙ্খলার কারণে প্রাক্তন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট এন শ্রীনিবাসনকে আইনি নোটিশ পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট। শুধু শ্রীনিবাসনই নন, আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে শ্রীনির অন্যতম সহযোগী নিরঞ্জন শাহ।
গতকালই সুপ্রিম কোর্টের কাছে নিজেদের চতুর্থ স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছিল কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন্স (সিওএ)। সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত এই কমিটির মূল কাজ, লোঢা কমিশনের প্রয়োগ ঠিক হচ্ছে কি না তা পর্যবেক্ষণ করা। নিজেদের জমা দেওয়া রিপোর্টে প্রাক্তন বোর্ড প্রেসিডেন্ট শ্রীনিবাসন এবং নিরঞ্জন শাহের ব্যাপক সমালোচনা করে সিওএ। রিপোর্টে উল্লেখ ছিল ৭০ পেড়িয়ে গেলেও এই কর্তারা বোর্ডের অধিকাংশ বৈঠকে উপস্থিত থাকেন ব্যক্তিগত স্বার্থের কারণে। বার বার বাঁধা হয়ে দাঁড়ান বোর্ডের উন্নতির স্বার্থে। বোর্ডের সঙ্গে রাজ্য সংস্থা গুলির ঐক্য বজায় থাকার অন্যতম কারণ যে এই শ্রীনি তাও নিজেদের রিপোর্টে জানিয়ে দেয় বোর্ড নিযুক্ত এই কমিটি।
আরও পড়ুন: ক্ষুব্ধ সৌরভদের চিঠি, দ্রুত জবাব বোর্ডের
আর সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই এ দিন আইনি নোটিশ পাঠাল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। নোটিশের উত্তর দেওয়ার জন্য এই দুই কর্তাকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সময় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ২৪ জুলাই শ্রীনি-শাহ জুটির উত্তরের ভিত্তিতে শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে।
এ দিন শ্রীনিবাসনের পক্ষে সওয়াল করেন দেশের অন্যতম সেরা আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল। তিনি বলেন, “শ্রীনিবাসনকে নিয়ে হয়ত আতঙ্কে রয়েছে সিওএ। শ্রীনিকে ছোট করাই এখন সিওএর এক মাত্র উদ্দেশ্য।” কিন্তু সিব্বলের দেওয়া যুক্তি এ দিন ধোপে টেকেনি আদালতে।