দুরন্ত: হরমনপ্রীতের অসাধারণ ফিল্ডিং। মঙ্গলবার। ছবি: টুইটার
হতে পারে সে দিন আর দূরে নয়। আগামী দু’এক বছরেই শুরু হয়ে যাবে মেয়েদের আইপিএলও। সম্ভবত তারই সলতে পাকানোর কাজটা শুরু হয়ে গেল সোমবার ওয়াংখেড়েতে।
মেয়েদের টি-টোয়েন্টি প্রদর্শনী ম্যাচের আয়োজন করেছিল ভারতীয় বোর্ড। খেলা হয়ে গেল আইপিএল প্লে-অফের ঠিক আগে, মুম্বইয়ে ভরদুপুরে। খেলল টেলব্লেজার্স বনাম সুপারনোভাস। কিন্তু প্রশ্ন থেকে গেল বেশ কিছু। মেয়েদের নিয়ে আইপিএলের মতো প্রতিযোগিতা হলে আদৌ খুব বেশি রান উঠবে? সেক্ষেত্রে খেলা দেখতে আসবে দর্শক?
সলতে পাকানোর দিনে হতাশার ব্যাপার একটাই, খুব বেশি রান কিন্তু হল না। দু’দল মিলিয়ে রান ধরলে উঠল সাকূল্যে আড়াইশোর একটু বেশি। তার উপর প্রথমে ব্যাট করা টেলব্লেজার্স তো তাদের ইনিংসে একটা ছক্কাও মারতে পারল না। কে না জানে, ক্রিস গেল, বিরাট কোহালিদের আইপিএলে ছক্কার বন্যা বয়ে যায়!
অবশ্য হরমনপ্রীত কৌরের সুপারনোভাস তিনটি ছয় মেরেছে। জিতেছেও তারাই। এমন নয়, যে ম্যাচে নাটক ছিল না। টেলব্লেজার্সের ২০ ওভারে করা ১২৯ (৬ উইকেটে) তুলতে সুপারনোভাসকে ছুটতে হল শেষ ওভারের শেষ বল পর্যন্ত। এবং হরমনপ্রীত মানলেন, ‘‘ বিশ্বাস করুন, ম্যাচটা এত কঠিন করতে চাইনি। আসলে ওরা বড় ভাল বল করেছে। না হলে কখন ম্যাচ শেষ হয়ে যায়। একেবারে শেষ দিকেও আমাদের খুব সাবধানে খেলতে হয়েছে।’’
শেষ দু’ওভারে সুপারনোভাসকে করতে হত ১০ রান। টি-টোয়েন্টি তে যা কিছুই না। অথচ সেটা করতেই রীতিমতো কাঠখড় পোড়াতে হল। অবশ্য খেলা শেষে ম্যাচের খুঁটিনাটি নিয়ে খুব বেশি কথায় কোনও ক্রিকেটারই গেলেন না। তাঁদের উচ্ছ্বাসটা ছিল আবেগ সংক্রান্ত। টেলব্লেজার্সের বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার এলিসে পেরি যেমন বললেন, ‘‘অবিশ্বাস্য অভিজ্ঞতা লাভ করলাম। তার উপর ওয়াংখেড়ের মতো স্টেডিয়ামে খেলার সুযোগ পেলাম। জানি না কবে মেয়েদের আইপিএল শুরু হবে! আর অপেক্ষা করতে পারছি না।’’