সফল: অভিষেক টেস্টে নেমেই প্রথম দিন দুই উইকেট নটরাজনের। এপি
প্রথম একাদশের তারকা বোলারেরা চোট-আঘাতের কারণে দলে নেই। কিন্তু তার পরেও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ব্রিসবেনে চতুর্থ টেস্টে মহম্মদ সিরাজ, ওয়াশিংটন সুন্দর, শার্দূল ঠাকুরদের বোলিংয়ের প্রশংসা করলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সুনীল গাওস্কর।
যদিও ডেভিড ওয়ার্নার-সহ প্রথম সারির তিন অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যানকে অল্প রানে ফিরিয়ে দেওয়ার পরেও কী ভাবে পাল্টা লড়াই ছুড়ে দিতে সক্ষম হলেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারেরা, সে কারণে বোলিং বিভাগকে মৃদু সমালোচনাও করেছেন ‘লিটল মাস্টার’। তাঁর মতে, শেষের পাঁচ ব্যাটসম্যানকে দ্রুত প্যাভিলিয়ানে ফেরাতে না পারার সমস্যায় ভারতীয় ক্রিকেট ভুগছে সেই ১৯৩২ সাল থেকে।
সম্প্রচারকারী চ্যানেলে গাওস্কর অনভিজ্ঞ ভারতীয় বোলিং বিভাগের সম্পর্কে বলেন, ‘‘ভারতীয় বোলারেরা দ্রুত যেমন প্রথম দিকে উইকেট পেয়েছে, তেমনই শেষ পাঁচ উইকেট পেতে ততটাই পরিশ্রম করেছে।’’
আরও পড়ুুন: মহমেডানে কোচ নিয়ে অসন্তোষ, রবিবার হতে পারে সিদ্ধান্ত
আরও পড়ুুন: মুম্বই ভুলে গোয়ার জন্য ঝাঁপাচ্ছে এটিকে মোহনবাগান
প্রাক্তন এই ভারতীয় ক্রিকেটারের এই মন্তব্য করার পিছনে সঙ্গত কারণও রয়েছে। ৮৭ রানে স্টিভ স্মিথ-সহ অস্ট্রেলিয়ার প্রথম তিন উইকেট ফেলে দেওয়ার পরে ম্যাচে ফেরেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানেরা। কিন্তু এই টেস্টে অভিষেককারী টি নটরাজন প্রথম দিনের খেলার শেষের দিকে দ্রুত মার্নাস লাবুশেন এবং ম্যাথু ওয়েডকে ফিরিয়ে ফের ভারতকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন। দ্রুত ২১৩-৫ হয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই জায়গা থেকে প্রথম দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়ার রান ২৭৪-৫। সে কারণেই এই মন্তব্য গাওস্করের।
তিনি আরও বলেন, ‘‘চা পানের বিরতি পর্যন্ত ম্যাচটা নিয়ন্ত্রণ করছিল ভারত। কিন্তু এর পরে যদি ভারতীয় বোলারেরা আরও কয়েকটি উইকেট পেত, তা হলে বলা যেত দিনটা ছিল ভারতীয়দের। আর কয়েকটা উইকেট তুলে নিতে পারলেই অস্ট্রেলিয়াকে কম রানে আটকে রাখা যেত। কিন্তু ক্যামেরন গ্রিন এবং টিম পেন সেই চাপ কেটে দলকে বার করে নিয়ে গেল।’’
তবে প্রথম একাদশের বোলার যশপ্রীত বুমরা, মহম্মদ শামি, ইশান্ত শর্মা, আর অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাডেজাদের অনুপস্থিতিতে ভারতের হয়ে চতুর্থ টেস্টে খেলা বোলারদের প্রশংসা করেন গাওস্কর। উল্লেখ্য, এই টেস্টেই ভারতীয় দলের হয়ে টেস্টে অভিষেক হয়েছে দুই বোলার ওয়াশিংটন সুন্দর, টি নটরাজনের। নটরাজন প্রথম ভারতীয় বোলার যাঁর একই সফরে তিন ফর্ম্যাটে অভিষেক হল।
গাওস্করের কথায়, ‘‘ভারতীয় বোলিং আক্রমণ বেশ ভাল ছিল। শার্দূল ঠাকুর টেস্ট ক্রিকেটে হয়তো এর আগে দু’ওভার বল করেছে। নবদীপ সাইনি একটা টেস্ট খেলেছে এর আগে। মহম্মদ সিরাজও টেস্ট ক্রিকেটে নবাগত। আর নটরাজন এবং ওয়াশিংটন সুন্দরের তো অভিষেকই হল এই ম্যাচে। কিন্তু তার পরেও দ্রুত প্রথম পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে ওরা প্রমাণ করেছে নিজেদের কাজে ওরা কতটা দায়বদ্ধ ছিল।’’ যদিও এর পরে অস্ট্রেলিয়ার পরবর্তী পাঁচ উইকেট দ্রুত তুলে নিতে না পারায় বোলারদের মৃদু সমালোচনা করে গাওস্কর বলেন, ‘‘সেই ১৯৩২ সালে ইংল্যান্ডের মাঠে ভারতের প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলার সময় থেকে এই ঘটনা হয়ে আসছে। সে বার ওঁরা ইংল্যান্ডের প্রথম পাঁচ উইকেট দ্রুত ফেলে দিলেও, পরের পাঁচ উইকেটে বড় রান করেছিল ইংল্যান্ড।