লড়াই: ভারতীয় দলের মন্দার রাও দেশাইকে (ডান-দিকে) আটকানোর চেষ্টা ওয়েনের। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
মলদ্বীপ থেকে এটিকে-মোহনবাগানের হয়ে এএফসি কাপ খেলে আসার পরে শুক্রবারেই জাতীয় শিবিরে যোগ দিচ্ছেন প্রীতম কোটালেরা। বৃহস্পতিবার সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রীতমের সঙ্গে শিবিরে যোগ দেবেন অমরিন্দর সিংহ, শুভাশিস বসু, লিস্টন কোলাসো এবং মনবীর সিংহেরা।
এএফসি কাপে এটিকে-মোহনবাগানের সঙ্গে একই গ্রুপে ছিল বেঙ্গালুরু এফসিও। জানা গিয়েছে, জাতীয় দলের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী-সহ বেঙ্গালুরুর বাকি ফুটবলার গুরপ্রীত সিংহ সাঁধু, উদান্ত সিংহ, সুরেশ সিংহেরা কলকাতায় জাতীয় শিবিরে আসছেন না। সুনীলেরা সরাসরি জাতীয় দলের সঙ্গে যোগ দেবেন দিল্লিতে। রবিবার, ২৯ অগস্ট বিকেলে জাতীয় দল নিয়ে কোচ ইগর স্তিমাচ উড়ে যাবেন দিল্লি। সেখানেই মিলিত হবেন বেঙ্গালুরু এফসি-র ফুটবলারেরা। পরের দিন নেপালে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে উড়ে যাবে জাতীয় দল। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের আগে সেখানে ২ ও ৫ সেপ্টেম্বর নেপালের বিরুদ্ধে খেলবেন
স্তিমাচের ছেলেরা।
বৃহস্পতিবার মহমেডান স্পোর্টিংয়ের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচ খেলল ভারতীয় দল। প্রথমার্ধে খেলার ফল ছিল গোলশূন্য। এই অর্ধের একমাত্র উল্লেখযোগ্য ঘটনা ৪৪ মিনিটে জাতীয় দলের বঙ্গসন্তান সদস্য রহিম আলির শট পোস্টে লেগে ফেরা। দ্বিতীয়ার্ধে প্রণয় হালদার-সহ জাতীয় দলের প্রথম একাদশের অনেক ফুটবলারকেই নামিয়ে দিয়েছিলেন স্তিমাচ। এতে মহমেডান রক্ষণে চাপ বাড়ে। প্রবল বৃষ্টির মধ্যে ম্যাচের ৫৭ মিনিটে মহমেডান রক্ষণের ফুটবলার মনোজ মহম্মদ দৃষ্টিকটূ ফাউল করায় রেফারি তাঁকে লাল কার্ড দেখালে ১০ জন হয়ে যায় মহমেডান। ৬২ মিনিটে ব্রেন্ডনের পাস থেকে বাঁ-পায়ের শটে ভারতীয় দলকে ১-০ এগিয়ে দেন ফারুখ চৌধরি। এর পরে ৮৩ মিনিটে সেই ব্রেন্ডনের কর্নারে মাথা ছুঁইয়ে জাতীয় দলের রক্ষণ ভাগের ফুটবলার চিঙ্গলেনসানা সিংহ বল বাড়িয়েছিলেন ঈশান পণ্ডিতাকে। তিনি ২-০ এগিয়ে দেন দলকে।
তবে পিছিয়ে গিয়েও শেষ লগ্নে গোল করার সুযোগ পেয়েছিল মহমেডান। ৮৬ মিনিটে সুশীল সিংহের শট গোললাইন থেকে ফেরান চিঙ্গলেনসানা।
উল্লেখ্য, এর আগে ১৫ অগস্ট কলকাতায় আসার পরের দিন আইএফএ একাদশের বিরুদ্ধে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছিলেন প্রণয়েরা।