নতুন মরসুমে মহমেডানের কোচ হচ্ছেন সুব্রত ভট্টাচার্য।
বৃহস্পতিবার সাদা-কালো শিবিরের কর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর চুক্তিতে সই করে দিলেন ময়দানের সফলতম ফুটবলার ও কোচ। মহমেডান সচিবের অফিসে বসে চুক্তিতে সই করার পর সুব্রত বলে দিলেন, ‘‘ফুটবলার জীবনে কখনও মহমেডানে খেলিনি। ১৯৮১-তে যখন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, বিদেশ বসু, মানস ভট্টাচার্যদের মতো সাত জন ফুটবলার মোহনবাগান ছেড়ে মহমেডানে চলে গিয়েছিল তখন আমাকেও তৎকালীন কর্তারা প্রস্তাব দিয়েছিলেন খেলার জন্য। মোহনবাগানে সারাজীবন খেলব বলে ক্লাব বদল করিনি। মহমেডানে কোচিং করানোর সুযোগ পেয়ে সেই আক্ষেপ অনেকটাই পুষিয়ে গেল।’’
মোহনবাগানকে কোচিং করিয়ে দু’টি আই লিগ ও দুটি ফেড কাপ জিতিয়েছেন। ইস্টবেঙ্গলকে কোচিং করিয়ে ফেড কাপ জিতিয়েছেন। মহমেডানের দায়িত্ব নেওয়ার পর ময়দানের তিনিই হলেন অন্যতম তারকা ফুটবলার যিনি তিন প্রধানেই কোচিং করাবেন। মহমেডান সচিব মহম্মদ কামারুদ্দিন বেশ কয়েকবার সুব্রতর সঙ্গে আলোচনা করলেও দোটানায় ছিলেন তিনি। কারণ গত বছর ভবানীপুরকে কোচিং করিয়ে চ্যাম্পিয়ন করে কলকাতা প্রিমিয়ার লিগে তুলেছেন। এ দিন চুক্তিতে সই করার পর সুব্রত বললেন, ‘‘ভবানীপুরের প্রস্তাব ভাল লাগেনি। মহমেডান অনেক আন্তরিকতা দিয়ে ডেকেছে। এটা আমার কাছে নতুন চ্যালেঞ্জ।’’ সুব্রতকেও পছন্দের ফুটবলারের নাম দেওয়ার জন্য বলেছেন কর্তারা। পুরো মরসুমের জন্য কোচ হলেও সুব্রত জানিয়ে দিলেন, তাঁর প্রথম লক্ষ্য কলকাতা লিগে ভাল ফল করা। পরের লক্ষ্য আই লিগের দ্বিতীয় ডিভিশনে সাফল্য দেওয়া।