কলকাতা বিমানবন্দরে অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথেউজ।ছবি: শঙ্কর নাগ দাস।
সকাল সাতটার কিছু পরে অস্ট্রেলিয়া। সন্ধে সাতটার কিছু আগে শ্রীলঙ্কা। এক দিনে, বারো ঘণ্টার ব্যবধানে শহরে ঢুকে পড়ল দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন টিম। শহরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ উৎসব আরও জমজমাট করে।
তবে একই দিনে শহরে পা দিলে কী হবে, দুটো টিমের বর্তমান মানসিক অবস্থান প্রায় উল্টো। স্টিভ স্মিথের নেতৃত্বে পঞ্চাশ ওভারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে দেখে মনে হচ্ছে, পেশাদারিত্বের মূর্তিমান প্রতীক। ও দিকে গত বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা টিম নানা সমস্যায় ডুবে।
বিশ্বকাপ শুরুর সপ্তাহখানেক আগে বহু দিনের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক লাসিথ মালিঙ্গা বলে দেন, তিনি নেতৃত্ব ছাড়তে চান। শেষ মুহূর্তে দায়িত্ব নেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথেউজ। যিনি নিজেই কলকাতা পাড়ি দেওয়ার আগে স্বীকার করে নিয়েছিলেন যে, ক্যাপ্টেন্সি নেওয়ার ব্যাপারে মোটেও প্রস্তুত ছিলেন না। বলেছিলেন যে, আসন্ন বিশ্বকাপের জন্য নির্বাচকদের সঙ্গে বসে বিশেষ প্ল্যানিং করেছিলেন মালিঙ্গা। সেখানে তাঁকে সব নতুন করে ভাবতে হচ্ছে।
এত পর্যন্ত হলে তবু ঠিক ছিল। এর উপর আবার নতুন দুশ্চিন্তা ঢুকে পড়েছে শ্রীলঙ্কার টিমের অন্দরমহলে। যে দুশ্চিন্তার নামও লাসিথ মালিঙ্গা। এ দিন সন্ধেয় শ্রীলঙ্কার যে স্কোয়াড শহরে নামল, তাতে ছিলেন না লঙ্কার প্রধান পেসার। শোনা গেল, আগামী ১৪ মার্চ তাঁর আসার কথা। যা খবর, হাঁটুর চোটের সুশ্রুষা এখনও চলছে তাঁর। আপাতত যা অবস্থা, তাতে ১৪ মার্চ পাকিস্তানের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচে মালিঙ্গা ভাল রকম অনিশ্চিত।
শুধু তাই নয়, বিশ্বকাপেও যে সব ম্যাচে খেলবেন মালিঙ্গা, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। টিমের কেউ কেউ সিএবির পরিচিতদের এ দিন যা বলেছেন তার নির্যাস, বেছে বেছে ম্যাচ খেলানো হবে মালিঙ্গাকে। অপেক্ষাকৃত ‘সহজ’ ম্যাচে তাঁকে নামানোর ঝুঁকি নিতে চায় না টিম। যেহেতু তাতে নতুন চোটের আশঙ্কা থেকে যায়। টুর্নামেন্টের পরের দিকের নির্ণায়ক ম্যাচের জন্য মালিঙ্গাকে ফিট রাখার চেষ্টা চলছে।
অন্য দিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে বিশ্বকাপ খেলতে আসা টিম অস্ট্রেলিয়া আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে। শুক্রবার গোটা দিন হোটেলেই বিশ্রাম করে কাটিয়ে দেন স্টিভ স্মিথরা। আজ শনিবার সন্ধেয় প্র্যাকটিসে নামছেন তাঁরা। এবং গোটা টিমের জন্য কড়া ডায়েট চার্ট ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে স্থানীয় ম্যানেজারকে। যেখানে বেশি তেল-মশলা যুক্ত এবং ভাজা খাবার একেবারে নিষিদ্ধ। চিকেন স্যান্ডউইচ, তন্দুরি ফিশ আর চিকেন, বিভিন্ন রকমের পাউরুটি, মাটন রোস্ট জাতীয় শুকনো খাবার চেয়েছেন স্মিথরা।