কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেণ রিজিজু।—ফাইল চিত্র।
বাংলার ক্রীড়া উৎকর্ষ বাড়াতে রাজ্য সরকারের প্রকল্প নিয়ে কেন্দ্রকে দ্রুত পদক্ষেপ করার কথা বলল রাজ্য। ৫০ কোটির বেশি খরচে নির্মিত উত্তরবঙ্গের ক্রীড়াঙ্গন এখন গবাদি পশুর চারণভূমি!
কেন বাংলাকে এ ভাবে বঞ্চিত করা হচ্ছে, তা নিয়ে এ বার কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেণ রিজিজুর কাছে সরব হলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
মঙ্গলবার ১৮টি রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিয়ো বৈঠক করেন রিজিজু। সেখানেই পশ্চিমবঙ্গের ক্রীড়ামন্ত্রী বিষয়টি উত্থাপন করেন। যা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন রিজিজু।
উত্তরবঙ্গ-সহ রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে ক্রীড়া-প্রতিভা খুঁজে আনার জন্য জলপাইগুড়িতে ২৭.০৬ একর জমিতে রাজ্য সরকার তৈরি করেছিল বিশ্ব বাংলা ক্রীড়াঙ্গন। যেখানে বাস্কেটবল, ব্যাডমিন্টন, টেবল টেনিস, স্কোয়াশ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। এ ছাড়াও ফুটবল, অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাক, ভলিবল, তিরন্দাজির মাঠ-সহ সুইমিং পুলও নির্মাণ করা হয় চার বছর আগে।
২০১৬-র ডিসেম্বরে মউ চুক্তি করে পুরো কেন্দ্রটি স্পোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়ার (সাই) হাতে তুলে দেয় রাজ্য। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেখানে খেলার কোনও কাজই শুরু করেনি তারা। রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে রাজ্যের তৎকালীন ক্রীড়া সচিব সাইয়ের ডিরেক্টরের কাছে কাজ শুরু করার জন্য চিঠি দিয়েছিলেন। উত্তর আসেনি। ২০১৮ সালের জুন মাসে তৎকালীন ক্রীড়ামন্ত্রী রাজ্যবর্ধন রাঠৌরের কাছে অরূপবাবু চিঠি লেখেন। তারও উত্তর আসেনি। তিনি বলছেন, ‘‘কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী রিজিজুকে দ্রুত এই কেন্দ্র চালু করার আবেদন জানিয়েছি। উনি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।’’ রাজ্যের আর্জিতে কেন্দ্র সাড়া দেয় কি না, সেটাই এখন দেখার।
করোনা আক্রান্ত হাকিম: কিংবদন্তি ভারতীয় ফুটবল কোচ প্রয়াত রহিম সাহেবের পুত্র এস এস হাকিম আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। ১৯৬০ সালে রোম অলিম্পিক্সে ভারতের হয়ে খেলা এই প্রাক্তন ফুটবলার নয়ের দশকের মাঝামাঝি কলকাতার মহমেডান স্পোর্টিংয়ে কোচিংও করিয়েছেন। এই মুহূর্তে তিনি হায়দরাবাদে একটি হোটেলে কোয়রান্টিন কেন্দ্রে রয়েছেন। সঙ্গে থেকে দেখভাল করছেন তাঁর স্ত্রী। করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন সাব-জুনিয়র বাংলা দলের ডাইভিং কোচ নীলাঞ্জন দাস। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানানো হয়েছে।