—প্রতীকী চিত্র।
ধনিয়াখালি পোড়াবাজার লেভেল ক্রসিং-এ বছর দু’য়েক আগেও রেলের গেটম্যান ছিলেন রবীন্দ্রনাথ মুর্মু। মেন লাইনের বিভিন্ন ট্রেনকে নিরাপদে যাত্রার জন্য সবুজ পতাকা দেখানো ছিল তাঁর অন্যতম কাজ।
শনিবার কল্যাণীতে ইস্টবেঙ্গল-মহমেডান ডার্বিতে খালিদ জামিলের টিমকে রুখে দিয়ে মোহনবাগানকে দীর্ঘ সাত বছর পর লিগ জয়ের লাইটহাউস দেখালেন রবীন্দ্রনাথের পুত্র জিতেন মুর্মু। নিজে একটা গোল করলেন। আর দিপান্দা ডিকাকে দিয়ে করালেন আরও একটি গোল। যার ফলে দু’পয়েন্ট নষ্ট করে সাত ম্যাচের পর ইস্টবেঙ্গলের পয়েন্ট হল ১৯। সমসংখ্যক ম্যাচে মোহনবাগানেরও পয়েন্ট সমান।
ম্যাচ শেষে জিতেন বলে গেলেন, ‘‘মোহনবাগানের জন্য শুভেচ্ছা রইল।’’
জিতেনের বাড়ানো বল থেকে যিনি এ দিন মহমেডানকে সমতায় ফেরালেন সেই দিপান্দা ডিকা পরের মাস থেকেই মোহনবাগান জার্সি গায়ে চড়াবেন। তিনিও বলে গেলেন, ‘‘মোহনবাগানকে শুভেচ্ছা। শিলিগুড়ির ডার্বিতে মোহনবাগানের দিকেই থাকবে আমার হৃদয়। কারণ, পরের মাসেই তো আমি ওই ক্লাবের হয়ে যাব।’’
মহমেডান শিবিরের দাবি, এ দিন ম্যাচ চলাকালীন ইস্টবেঙ্গল কোচ খালিদ জামিল নাকি বার বার কোচের টেকনিক্যাল এরিয়া ছেড়ে এসে তাদের ম্যানেজারের কাছে জানতে চাইছিলেন, কেন এত ভাল খেলছে মহমেডান। মোহনবাগানের বিরুদ্ধে কেন এই তৎপরতা দেখা যায়নি।
যা নিয়ে তর্কাতর্কিতে ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে খেলা বন্ধ ছিল। পরে মহমেডান ম্যানেজারকে ম্যাচ কমিশনার মাঠের বাইরে বার করে দিলে ফের ম্যাচ শুরু হয়।
ইস্টবেঙ্গল শিবির যদিও এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেনি। কিন্তু মহমেডানের কর্তা ও ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাস বলে যান, ‘‘খালিদ জামিলকে বলুন শিলিগুড়ির ডার্বি নিয়ে ভাবতে। আমাদের নিয়ে নয়।’’
রণক্ষেত্র বারাসত স্টেডিয়াম: কলকাতা প্রিমিয়ার লিগ ‘বি’ ডিভিশনে ভবানীপুর বনাম জর্জ টেলিগ্রাফ ম্যাচ ১-১ গোলে শেষ হওয়ার পরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বারাসত স্টেডিয়াম। ম্যাচের পর রেফারিদের ঘরে ভাঙচুর চালান এক দল দর্শক। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।