আসন্ন রঞ্জি ট্রফির আগে ক্রিকেটারদের জন্য কড়া নির্দেশিকা জারি করতে চলেছে সিএবি। এবং তা নাকি জারি হচ্ছে ক্রিকেটারদের শৃঙ্খলা নিয়ে।
আগামী সোমবার শ্রীলঙ্কা সফরের জন্য বাংলার দল নির্বাচনী বৈঠক হওয়ার কথা। তার আগে কেউ কেউ বলে দিলেন যে, ক্রিকেটারদের এ বার বলে দেওয়া হবে যে যারা শ্রীলঙ্কা সফরে যাবে না, রঞ্জি ট্রফিতেও তাদের খেলতে হবে না! তা সে যত বড় নামই হোক না কেন।
এমনিতে আসন্ন শ্রীলঙ্কা সফরকে অসম্ভব গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, শ্রীলঙ্কা সফরে যে যে ক্রিকেটার ভাল করবে, রঞ্জি ট্রফির চূড়ান্ত টিমে তাদেরই দেখার সম্ভাবনা বেশি। সফরে দু’টো চার দিনের ম্যাচ ছাড়া তিনটে ওয়ান ডে-ও খেলবে বাংলা। বাংলার নতুন কোচ সাইরাজ বাহুতুলেরও সফরে যাওয়ার কথা আছে।
কিন্তু তার আগে এমন সম্ভাব্য ফতোয়া কেন?
বলা হচ্ছে, সাম্প্রতিকে বাংলার সিনিয়র ক্রিকেটারদের কারও কারও মনোভাব মোটেও পছন্দ হয়নি সিএবি-র। সিএবি প্রাক্-মরসুম প্রস্তুতির আয়োজন করেছে আর সিনিয়রদের কেউ কেউ তাতে যোগ দিতে ঢিলেমি দেখিয়েছেন। চেন্নাইয়ে সম্প্রতি টিএ শেখরের শিবির নিয়ে একদফা হয়। যেখানে কোনও কোনও সিনিয়র চোট দেখিয়ে নাকি শিবির এড়িয়ে যেতে চেয়েছিলেন। পরে সিএবি খোঁজ নিয়ে জানতে পারে চোট এতটাও মারাত্মক নয় যে শিবিরে যাওয়া যাবে না। কেউ আবার শিবির শুরুর দিন দু’য়েক পরে গিয়ে উপস্থিত হন। বলে দেওয়া হল, শ্রীলঙ্কা সফরে সে সব আর বরদাস্ত করা হবে না। যাদের নির্বাচন করা হবে, তাদের যেতে হবে। যদি না কারও সত্যিকারের চোট থাকে। নইলে রঞ্জি ট্রফির দরজাও সে সব ক্রিকেটারদের জন্য বন্ধ।
এবং শুধু ক্রিকেটারদের শৃঙ্খলার রাস্তায় ফেরানোই নয়, স্থানীয় ক্রিকেটের কাঠামোও পরিবর্তনের দিকে এগোচ্ছে সিএবি। এ দিন প্রথম ডিভিশন ক্লাবগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসেন সিএবি যুগ্ম সচিব সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বেশ কয়েকটা ব্যাপার ঠিকও করা হয়। যেমন, সিএবির লিগের তিনটে গ্রুপের প্রথম তিন দল নিয়ে একটা সুপার লিগ করা হবে। যা হবে এ বছর থেকেই। পরের বছর থেকে এএন ঘোষ ট্রফির বদলে যা আসতে পারে ময়দানে। পাশাপাশি পি সেন ট্রফি এবং জেসি মুখোপাধ্যায় ট্রফির সেমিফাইনাল-ফাইনাল ফ্লাডলাইটে করা যায় কি না, তা ভাবনাচিন্তা করে দেখা হচ্ছে। এটাও ঠিক হয়ে যায় যে, এএন ঘোষ ট্রফি পরের বারও ম্যাটেই করা হবে। সিএবি নকআউট টুর্নামেন্ট আবার কোয়ার্টার ফাইনাল পর্ব থেকে হয়ে যেতে পারে পঞ্চাশ ওভারের। সিএবি থেকে বেরনোর সময় এ দিন যুগ্ম সচিব সৌরভ বললেন, ‘‘বেশ কয়েকটা প্রস্তাব এসেছে। সেগুলো টুর্নামেন্ট কমিটির কাছে পাঠানো হবে। তবে এর ফলে ম্যাচ বেড়ে যাবে। আমাদের দেখতে হবে কী ভাবে কী করা যায়।’’
পাশাপাশি একটা জল্পনাও চলছে সিএবিতে। চলছে, বাংলার পূর্বতন কোচ অশোক মলহোত্রর আগামী ভূমিকা নিয়ে। অশোককে যে একটা বড় দায়িত্বে রাখা হবে, তার ইঙ্গিত গত কালই দিয়েছিলেন যুগ্ম সচিব সৌরভ। বলা হচ্ছে, অশোক নাকি দু’টোর যে কোনও একটা পেতে পারেন। হয়, ‘ভিশন ২০২০’-র প্রধানের পদ। নইলে বাংলা টিমের প্রধান উপদেষ্টা।