টসে জিতে ব্যাট নিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। অধিনায়কের এই সিদ্ধান্তের পরই ভ্রু কুঁচকে ছিলেন মাঠে উপস্থিত প্রাক্তনরা। সম্ভাবনাটিই সত্যি হল। ভারতীয় বোলারদের দাপটে মাত্র ১০৪ রানে শেষ হয়ে গেলেন ক্যারিবিয়ানরা। হেলায় জিতল ভারত। পকেটে পুরো নিল একদিনের সিরিজও। দেখে নেওয়া যাক পঞ্চম একদিনের ম্যাচে ভারতের জয়ের কয়েকটি কারণ।
প্রথমেই বলতে হবে টসে জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাট নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা। তিরুঅনন্তপুরমের মাঠে প্রথম দিকে বল সহজে ব্যাট আসার কথা ছিল না। তাও কেন হোল্ডার ব্যাট নিলেন তার কারণ অজানা।
যে সুযোগটা পাওয়া গেল, তা পুরোপুরি কাজে লাগালেন ভারতীয় বোলাররা। প্রথম দুই ওভারে পর পর দুই উইকেট। ক্যারিবিয়ান ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ড তখনই ভেঙে দেন ভুবি-বুমরা।
চোট মুক্ত হয়ে ফিরে সেই তেজ দেখা যাচ্ছিল না ভুবনেশ্বরের মধ্যে। অস্ট্রেলিয়া সফরের আগে ম্যানেজমেন্টের আশঙ্কা কাটানোর জন্য আজকের ম্যাচটাই যেন বেছে নিলেন ভুবি। পুণে ম্যাচে লজ্জার হারও সেরাটা বের তরতে সাহায্য করেছে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটিংয়ের মূল স্তম্ভ শেই হোপ। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারে বুমরা তাকে ফেরাতেই সব থেকে বড় ধাক্কা খেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বড় রানের আশা শেষ হয় তখনই।
কিছুটা লড়াই করার চেষ্টা করছিলেন স্যামুয়েলস। কিন্তু, তিনি ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই তাঁকে আউট করেন জাডেজা। সহজ ক্যাচ তুলে ফিরে গেলেন মাত্র ২৪ রানে।
পিচের চরিত্র অনুযায়ী দুর্দান্ত বল করলেন রবীন্দ্র জাডেজা। স্যরকে সামলানোর মতো কোনও রসদই ছিল না ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভাঁড়ারে। চার উইকেট নিয়ে বুঝিয়ে দিলেন তিনি কেন অধিনায়কের পছন্দের।
জাডেজাকে যোগ্য সঙ্গত দিয়ে গেলেন খলিল আহমেদ আর কুলদীপ। ভারতীয় বোলারদের দাপটে মাত্র ১০৪ রানে শেষ হয়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজের লড়াই। ভারতের সিরিজ জয় তখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।
বাকি কাজটা করার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিলেন সহ অধিনায়ক রোহিত শর্মা। পুণে ম্যাচে ব্যর্থতার পর পরের দুই ম্যাচে যেন দলকে জেতানোর লক্ষ্যেই ব্যাট হাতে নেমেছিলেন রোহিত।
যে দাপট নিয়ে রোহিত ব্যাট করে গেলেন, তাতে যেন মনে হচ্ছিল, ম্যাচ শেষ করার বাড়তি তাড়া রয়েছে রোহিতের। আর রো-হিট ফর্মে থাকা মানে যে ভারতের জয় নিশ্চিত হওয়া সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।