১৯৮৩ সালের ২৫ জুন ওয়ান ডে’র ইতিহাসে সব থেকে বড় ট্রফি জিতেছিল ভারত। বিশ্বকাপ। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৪৩ রানে হারিয়ে প্রথমবার বিশ্বকাপ উপহার দিয়েছিলেন কপিল দেব, সুনীল গাওস্কর, শ্রীকান্ত, মদনলালরা। বিশ্বকাপে কী কী রেকর্ড হয়েছিল সে বার? ফিরে দেখা মোড় ঘোরানো সেই বিশ্বকাপের কিছু নজির।
ইংল্যান্ডের ডেভিড গাওয়ার করেছিলেন মোট ৩৮৪ রান। এটিই ছিল সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড সে বছরের বিশ্বকাপে। সবচেয়ে বেশি গড়ও ছিল ডেভিড গাওয়ারের দখলে। ৭৬.৮০।
ভারতের অধিনায়ক কপিল দেবের দখলে ছিল সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর। জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ১৭৫ রান করেছিলেন তিনি।
বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি অর্ধশতক ছিল (চারটি) গ্রেম ফাওলারের দখলে। সবচেয়ে বেশি ডাকের রেকর্ড ছিল শ্রীলঙ্কার অর্জুনা রণতুঙ্গার।
সবচেয়ে বেশি স্ট্রাইক রেট ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডব্লু ডব্লু ড্যানিয়েলের দখলে। ১৩৩.৩৩।
এত গেল ব্যাটিং পরিসংখ্যান। এ বার আসা যাক বোলিংয়ের কথায়। সবচেয়ে বেশি উইকেট পেয়েছিলেন ভারতের রজার বিনি। ১৮টি উইকেট ছিল তাঁর দখলে।
সেরা বোলিং ফিগার অবশ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের উইনস্টন ডেভিসের দখলে। ১০.৩-০-৫১-৭
বোলিংয়ে সেরা গড় ছিল নিউজিল্যান্ডের রিচার্ড হ্যাডলির দখলে, ১২.৮৫। সেরা ইকনমি রেট ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যালকম মার্শালের। ২.৫০।
পাঁচ বা তার একাধিক উইকেটের ক্ষেত্রে সেরা বোলার ছিলেন শ্রীলঙ্কার আশান্থা ডে মেল। দু’বার পাঁচ বা তার বেশি উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।
এ বার ফিল্ডিং পরিসংখ্যান দেখলে, সবচেয়ে বেশি ক্যাচ ছিল কপিল দেবের দখলে। সাতটি ক্যাচ তাঁরই দখলে। এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ‘ডিসমিসাল’ যদিও সৈয়দ কিরমানির দখলে (৫)।
দলগত রানে সর্বোচ্চ রেকর্ড ছিল পাকিস্তানের। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৩৮ রান করেছিল তারা।
সবচেয়ে বেশি রানে হেরে (১৬২ রান) গিয়েছিল ভারত, অস্ট্রেলিয়ার কাছে। লক্ষ্য ছিল ৩২১ রান।
এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি অতিরিক্ত রানের রেকর্ড ৩৮। জিম্বাবোয়ে-ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচ ছিল সেটি।