টেস্টের সেই স্লেজিং দেখা যাবে না আইপিএলে

এ বারের আইপিএলের ওপর আমার নজর থাকবে সম্পূর্ণ অন্য কারণে। আমরা জানি এই টুর্নামেন্টে ক্রিকেটটা সর্বোচ্চ পর্যায়ের হবে। মুম্বই, দিল্লি বা কলকাতা হল সেই সব টিম যাদের ওপর আপনাকে নজর রাখতেই হবে। মহাতারকারা ছড়ি ঘোরাবে।

Advertisement

রবি শাস্ত্রী

শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০১৭ ০৩:২৮
Share:

নজরে: কালিস-পাঠানের সঙ্গে তরুণ তারকা কুলদীপ। ইডেনে। নিজস্ব চিত্র

এ বারের আইপিএলের ওপর আমার নজর থাকবে সম্পূর্ণ অন্য কারণে। আমরা জানি এই টুর্নামেন্টে ক্রিকেটটা সর্বোচ্চ পর্যায়ের হবে। মুম্বই, দিল্লি বা কলকাতা হল সেই সব টিম যাদের ওপর আপনাকে নজর রাখতেই হবে। মহাতারকারা ছড়ি ঘোরাবে। আবার সুরেশ রায়না বা শিখর ধবন জীবনকে বাজি রেখে খেলবে জুন মাসে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির কথা মাথায় রেখে।

Advertisement

ইংলিশ ক্রিকেটাররাও মাঠে নেমে পড়তে তৈরি। বুক ফুলিয়ে, মাটিতে পা দাপিয়ে। বেন স্টোকসের নেতৃত্বে যে সব ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার এ বার এসেছে, তারা কিন্তু যথেষ্ট প্রতিভাবান। টাইমাল মিলস, ক্রিস জর্ডান, ক্রিস ওকস। ওরা এক এক জন এক এক ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে মাঠে নামবে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের দাপট যে বাড়ছে, তা আইপিএলে ওদের ক্রিকেটার সংখ্যা দেখেই বোঝা যাচ্ছে।

আরও একটা ব্যাপার নিয়ে আমি নিশ্চিত। ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজে আমরা যে রকম বাগ্‌যুদ্ধ দেখেছিলাম, যে রকম ভাষার আদানপ্রদান হয়েছিল, সেটা আইপিএলে হবে না। ভারত-অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের ইগো টেস্ট সিরিজের মতো আইপিএলে বাড়তি মশলা যোগ করবে না। দেশের জার্সি আর ফ্র্যাঞ্চাইজি জার্সির মধ্যে তফাত আছে। এখানে একটা দল মানে সেখানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের মিশ্রণ। তাই মাঠে নামার সময় অতীতে দেশের হয়ে কী ঘটেছিল, সেটা কেউ মাথায় রাখে না।

Advertisement

এ বারের টুর্নামেন্টে আমার আগ্রহটা থাকবে সদ্য সমাপ্ত আন্তর্জাতিক সিরিজের উঠতি তারকাদের নিয়ে। যেমন জয়ন্ত যাদব, কুলদীপ যাদব, করুণ নায়ার, কেদার যাদব। এরা সবাই কিন্তু বড় ক্রিকেটার হয়ে ওঠার প্রতিশ্রুতি দেখিয়েছে। আপনাদের ‘দেখতেই হবে তালিকা’য় আরও দু’টো নাম রাখতে পারেন। আফগানিস্তানের মহম্মদ নবি এবং রশিদ খান। নবি কিন্তু খুব বিগ হিটার। বড় শট খেলতে পারে। লেগ স্পিনার রশিদও কিন্তু চমকে দিতে পারে অনেককে। ইদানীং রশিন কিন্তু খুব ভাল ফর্মে আছে। আইপিএল নিলামে ও যে টাকাটা পেয়েছে, সেটাই তার প্রমাণ।

তবে আর অশ্বিন, মুরলী বিজয় বা কে এল রাহুলের অভাব অবশ্যই আমরা টের পাব। যেমন প্রথম দিকে বিরাট কোহালির না থাকাটাও দর্শকদের হতাশ করবে।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের মধ্যেও এ বার বেশ কয়েক জন ছিটকে গিয়েছে। যেমন, জে পি ডুমিনি, কুইন্টন ডি’কক, মিচেল স্টার্ক, মিচেল মার্শ। কেকেআরের আন্দ্রে রাসেলও এ বার নেই। তবে চোটের জন্য নয়, নিময়ভঙ্গ করায়।

এ বারের আইপিএল বেশ কয়েক জন তরুণ ক্রিকেটারের কেরিয়ার গড়ে দিতে পারে। আইপিএল অনেকের ক্রিকেট কেরিয়ার এর আগেও গড়ে দিয়েছে। এ বারও দেবে বলেই আমার বিশ্বাস।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement