বাতিলের তালিকায় আরও একজন। আইপিএল-এর শুরুতে এ বার খেলতে পারছেন না শ্রেয়াস আয়ার। চিকেন পক্সে আক্রান্ত তিনি। শ্রেয়াসের না থাকাটা দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের জন্য একটা বড় ধাক্কা। দলের দুই বড় নাম কুইন্টন দে কুক ও জেপি দুমিনিও যোগ দিতে পারেননি। যার ফলে দিল্লি ডেয়ার ডেভিলসের টপ অর্ডার অনেকটাই দূর্বল হয়ে পড়ল।
আরও খবর: এক দিনের জন্য সিইও হলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি
২০১৫তেই দিল্লি দলে যোগ দিয়েছিলেন শ্রেয়াস। তাঁর জন্য অসাধারণ মরসুম ছিল সেটা। ১৪ ম্যাচে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছিল ৪৩৯ রান। শ্রেয়াস টানা ভাল খেলে গেলেও দিল্লি তেমনভাবে কিছু করতে পারেনি। কিন্তু গত বছরটা একদমই ভাল যায়নি তাঁর। ছ’ম্যাচে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ৩০ রান। যে কারণে পরের দিকে প্রথম একাদশেই জায়গাই হয়নি। কিন্তু এই মরসুমে ডোমেস্টিক ক্রিকেটে দারুণ সফল এই ব্যাটসম্যান। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ইন্ডিয়া ‘এ’র হয়ে সেঞ্চুরি এসেছিল তাঁর ব্যাটে। তার পরে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ডবল সেঞ্চুরিও রয়েছে। যে কারণে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শেষ টেস্টে বিরাট কোহালির কভার হিসেবে ডেকে নেওয়া হয়েছিল তাঁকেই।
দিল্লি ডেয়ার ডেভিলসের মেন্টর রাহুল দ্রাবির তাঁর দলে ভারতীয় ক্রিকেটের নতুন মুখদের তুলে এনেছিলেন। সেই তালিকায় শ্রেয়াস আয়ার, সঞ্জু স্যামসন,ঋষভ পন্থ ও করুণ নায়ার। দক্ষিণ আফ্রিকার দুই তারকা প্লেয়ারের অবর্তমানে এদের উপরই ভরসা রাখতে চেয়েছিলেন তিনি। সেই তালিকায় একজন বাদ চলে গেলেন চিকেন পক্সের জন্য। আইপিএল থেকে বাতিলের তালিকাটা ইতিমধ্যেই অনেক বেড়ে গিয়েছে। শ্রেয়াসের সঙ্গে সেই তালিকায় রয়েছেন, লোকেশ রাহুল, বিরাট কোহালি, সরফরাজ খান, এবি ডি’ভিলিয়ার্স, রবীন্দ্র জাডেজা, ডোয়েন ব্রাভো, মুরলী বিজয়, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, মিচেল জনসন।