—ফাইল চিত্র।
লভ্যাংশ নিয়ে টানাপড়েনেই জেরেই কি আইসিসি থেকে সরে দাঁড়ালেন চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহর?
বুধবার আচমকাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)-র চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। সংস্থার সিইও ডেভিড রিচার্ডসনকে এ দিন তাঁর ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন শশাঙ্ক। তবে প্রকাশ্যে ব্যক্তিগত কারণের কথা বললেও ইতিমধ্যেই তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। মুনাফা বণ্টন নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)-র সঙ্গে আইসিসি-র কোন্দলের কথা কারও অজানা নয়। বর্তমানে ক্রিকেট দুনিয়ার সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা আইসিসি-র মোট মুনাফার বেশির ভাগই ঢোকে মূলত তিনটি বোর্ডের কোষাগারে— বিসিসিআই, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) এবং ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। গত ২০১৪-তে আইসিসি চেয়ারম্যান থাকাকালীনই এন শ্রীনিবাসনের নেতৃত্বে এই প্রস্তাব পাশ হয়েছিল।
আরও পড়ুন
বিরাটরা কেন খারাপ পিচে খেলবে, প্রশ্ন দিলীপ দোশীর
গত ১২ মে আইসিসি-র প্রথম ইন্ডিপেন্ডেন্ট চেয়ারম্যান হিসাবে সর্বসম্মত ভাবে নির্বাচিত হন ৬০ বছরের এই আইনজীবী। আইসিসি-র চেয়ারম্যান পদে আসার পর থেকেই লভ্যাংশ বণ্টনে এই অসাম্যের ‘প্রথা’ ভাঙতে চেয়েছিলেন শশাঙ্ক মনোহর। গত ফেব্রুয়ারিতে চিফ এগ্জিকিউটিভ কমিটির সঙ্গে ফাইনান্স ও কমার্শিয়াল অ্যাফেয়ার্স কমিটির বৈঠকে এ নিয়ে নিজের মতামতও ব্যক্ত করেন তিনি। আইসিসি-র ১০৫টি সদস্য দেশের মধ্যেই সমানুপাতিক ভাবে লভ্যাংশ বণ্টনের পক্ষপাতী ছিলেন শশাঙ্ক। এ নিয়ে ওই বৈঠকে একটি প্রস্তাবও পেশ করেন তিনি। যা শ্রীনিবাসনের আমলের প্রস্তাবের বিরোধী। আগামী এপ্রিলেই এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা ছিল। তবে তার আগেই শশাঙ্ক মনোহরের ইস্তফায় সে আশায় জল পড়ল।
ডিআরএস বিতর্কের জেরেই মনোহরের ইস্তফা? ছবি: সংগৃহীত।
এর পাশাপাশি উঠে আসছে আরও একটি তত্ত্ব। এই ইস্তফার পিছনে স্টিভ স্মিথ বনাম বিরাট কোহালি বিতর্কের রেশই কি দায়ী? বেঙ্গালুরু টেস্টে ডিআরএস বিতর্কে অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক স্মিথকে ছাড় দেওয়ায় আইসিসি-কে একহাত নিয়েছেন সুনীল গাওস্কর, ফাফ দু’প্লেসিরা। আইসিসি-র বিরুদ্ধে মুখ খুলেছে ভারতীয় বোর্ডও। সে সমালোচনার মুখে পড়েই কি পদ থেকে সরলেন শশাঙ্ক? শুরু হয়েছে সে জল্পনাও!
২০১৬ সালে বিসিসিআই সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে আইসিসি-র চেয়ারম্যান পদে বসেন শশাঙ্ক মনোহর। সরে দাঁড়ালেন মাত্র আট মাস ওই পদে কাটানোর পর। তবে কারণ যা-ই হোক না কেন, আপাতত লভ্যাংশ বণ্টনে সমান অংশীদার হতে পারছে না আইসিসি-র সবক’টি সদস্য দেশ।