ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) সর্বশেষ আসরে কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) টিমমেট সুনীল নারিনের সঙ্গে স্পিনের লড়াইয়ে কুলিয়ে উঠতে পারেননি সাকিব আল হাসান। কেকেআরে ক্যারিবিয়ান অফ স্পিনারের উইকেট সংখ্যা সর্বশেষ আইপিএলে যেখানে ১১টি, সেখানে সাকিবের উইকেট সমস্টি মাত্র পাঁচ। টুয়েন্টি২০ ক্রিকেটে শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে সুনীল নারিনের পিছনে দীর্ঘদিন ছুটেছেন সাকিব। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) তৃতীয় সংস্করনে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে সুনীল নারিন খেলতে এসে বোলিং অ্যাকশনে নিষিদ্ধ হয়ে আসরের মাঝপথে ফিরে গেলে নারিনকে টপকে যাওয়ার সুযোগটা পান সাকিব। তবে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আইপিএলে ফিরেই নারিন উঠে আসেন সংক্ষিপ্ত ভার্সনের ক্রিকেটে। টুয়েন্টি২০ ক্রিকেটে উইকেট শিকারে স্পিনারদের সিংহাসনে থাকা নারিন সিংহাসন হারিয়েছেন অবশেষে। সদ্য সমাপ্ত ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) কোয়ালিফাইয়ার ‘টু’তে সুনীল নারিনের দল ত্রিনিবাগো নাইট রাইডার্সকে হারিয়ে জামাইকা তালওয়াশ ফাইনালে ওঠায় নারিনকে টপকে সংক্ষিপ্ত ভার্সনের ক্রিকেটে সর্বাধিক উইকেট সংগ্রহের যে ইচ্ছে ছিল, ফাইনালে ২ উইকেট পেয়ে তা পূরণ করেছেন সাকিব। টুয়েন্টি২০ ক্রিকেটে ১৯১ ম্যাচে সুনীল নারিনের উইকেট সংখ্যা যেখানে ২৪১, সেখানে সাকিবের উইকেট শিকার ২০৯ ম্যাচে ২৪২টি।
টুয়েন্টি২০ ক্রিকেটে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ২০০তম ম্যাচের ল্যান্ডমার্ক ছুঁয়েছেন সাকিব সিপিএলের সদ্য সমাপ্ত আসরে। এই আসরে ১২ উইকেটে টপকে গেছেন পাকিস্তান স্পিনার সাইদ আজমল (২৪০টি),শহীদ আফ্রিদি (২৩৯ টি) কে। টুয়েন্টি২০ ক্রিকেটে উইকেট শিকারে সাকিবের উপরে আছেন ৬ জন। তাঁদের সবাই পেস বোলার। ভারতের সেরা স্পিন অস্ত্র রবিচন্দন অশ্বিন (১৯৮) এবং অমিত মিশ্রাকে (১৯৬) টপকে টুয়েন্টি২০ ক্রিকেটে স্পিনারদের এভারেস্টে উঠে আসার আনন্দ নিয়েই শুক্রবার ঢাকায় ফিরেছেন সাকিব। সিপিএলে দু’টি হাফ সেঞ্চুরি সহ ১৬০ রানের পাশে ১২ উইকেট। ১ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলারে বিক্রি হয়ে নিজেকে মেলে ধরতে পেরে খুশি সাকিব। ‘‘পারফরম্যান্স ভালই ছিল। টি২০তে যেখানে ব্যাটিং করি সেখানে তেমন পারফরমেন্সের সুযোগ আসে না। দলের প্রয়োজনে যেদিন ভাল খেলার দরকার ছিল, বেশির ভাগ সময়েই তা করতে পেরেছি। এতে আমি সন্তুষ্ট। যেহেতু অনেক ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়েছে, ভাগ্যবানও হয়ত ছিলাম। এ কারণে এতগুলো উইকেট পাওয়ার সুযোগ হয়েছে। চেষ্টা করব এটা ধরে রাখতে।’’
৫ সপ্তাহের ব্যবধানে দু’দুটি ঘরোয়া ক্রিকেট লিগের ট্রফিতে রেখেছেন হাত। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে আবাহনীকে ৬ বছর পর শিরোপা উপহার দিয়ে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে জা মাইকা তালওয়াশের শিরোপা সাফল্যে রেখেছেন অবদান। লক্ষ্য এখন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন হোম সিরিজে টেস্ট এবং ওয়ানডে, দু’টি সিরিজে ট্রফি। শুক্রবার ঢাকায় পা রেখে সে গর্জনই দিয়েছেন বাঁ হাতি এই অল রাউন্ডার। বলেন, ‘‘আমাদের অবশ্যই ওয়ানডে সিরিজ জেতা উচিত। বিশ্বাস করি টেস্টেও জেতার সামর্থ্য আছে আমাদের। অবশ্যই চেষ্টা করব দুই ম্যাচে অন্তত: একটি জয় ও একটিতে যেন ড্র করতে পারি। মোট কথা, টেস্ট-ওয়ানডে দুটি সিরিজেই জিততে চাই। পুরো দলও ওই দিকেই ফোকাস করবে।’’ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দু’টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল অপরাজেয়। গত বছর হোমে চারটি ওয়ানডে সিরিজের সব ক’টিতেই জয়ের সুখস্মৃতি আছে বলে ৫০ ওভারের ম্যাচে ইংল্যান্ডকে হারানোর স্বপ্ন দেখতেই পারে বাংলাদেশ দল। কিন্তু টেস্টে তো ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অতীতে নেই কোনও ম্যাচ ড্র’র স্মৃতি! আটটি টেস্টের সব ক’টিতেই যে হেরে গিয়েছে বাংলাদেশ দল ! টেস্টে বিশ্বের অন্যতম সেরা দলের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের স্বপ্নটা কি একটু বেশিই হয়ে গেল না?
আরও খবর
মুস্তাফিজুরের কাঁধে অস্ত্রোপচার সফল, মাঠে ফিরতে অন্তত চার মাস