আইএসএলের গ্রুপ লিগ একেবারে শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছে গিয়েছে। আর তিন-চারটে করে ম্যাচ খেলবে টিমগুলো। লড়াইটা এখন দারুণ জমে গিয়েছে। লিগ তালিকায় এতটাই টানটান অবস্থা যে টিমগুলোর মধ্যে পয়েন্টের ব্যবধান এক, দুই বা তিন করে। কারও ১৩ পয়েন্ট, কারও ১৪, আবার কারও বা ১৫। মজার বিষয় হল, একটি ম্যাচের উপর আর দু’টি টিমের ভাগ্য নয়, আইএসএলের আটটি টিমের ভাগ্যই নির্ভর করছে। এক-একটি ম্যাচের পর লিগ তালিকা একেবারে ওলটপালট হয়ে যাচ্ছে।
আপাতত লিগ তালিকার যা পরিস্থিতি তাতে দিল্লি ডায়নামোসের সেমিফাইনালে যাওয়া কার্যত নিশ্চিত। তবে মুম্বই যে ভাবে কেরলকে হারিয়ে ১৯ পয়েন্ট পেয়ে গিয়েছে, তাতে শেষ চারে তাদেরও জায়গা কার্যত পাকা বলাই যায়। দিল্লি অবশ্য মুম্বইয়ের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলেছে। জামব্রোতার টিম এমন একটা দুর্গ তৈরি করেছে, যা ভাঙা বেশ কঠিন। আবার অসম্ভবও যে নয়, তা প্রমাণ করে দিয়েছে পুণে। দিল্লিকে ৪-৩ হারিয়ে। দিল্লির পরের ম্যাচ আমাদের সঙ্গেই। মাঝে আমরা অবশ্য কলকাতার সঙ্গে একটি ম্যাচ খেলব। সে যাই হোক, মালুদা এ বার নিজের সেরা ফর্মে রয়েছে। আর সেই সুবিধেটাই পাচ্ছে দিল্লি। মালুদা কিন্তু এই মুহূর্তে জামব্রোতার আসল অস্ত্র।
দিল্লি এবং মুম্বইকে ছাড়া আমি পুণে আর কেরল ব্লাস্টার্সের কথাও বলব। ওরা একটু পরের দিকে জেগে উঠেছে। কিন্তু দু’টি টিমই লিগ তালিকায় প্রথম চারে ঢুকে পড়েছে। এই দুই টিমের জন্য কিন্তু অনেক কোচকেই রিজার্ভ বেঞ্চে বসে নখ কামড়াতে হয়েছে।
আমার টিম এফসি গোয়া শেষ দুই ম্যাচে ঘরের মাঠে অসম্ভব ভাল লড়াই করেছে। যে ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে তাতে নর্থ-ইস্ট এবং মুম্বইয়ের কার্যত নখ কামড়ানো ছাড়া কোনও উপায় ছিল না। আর এই লড়াইটা গোয়ার সমর্থকরাও দারুণ ভাবে উপভোগ করেছেন। নর্থ ইস্ট ম্যাচের কথাই ধরা যাক, পিছিয়ে পড়েও আমরা সেই ম্যাচ জিতেছিলাম। তাও প্রায় ১৮ মিনিট দশ জনে খেলে। শেষ মুহূর্তে রোমিও ফার্নান্ডেজের গোলে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিলাম আমরা।
আবার মুম্বইয়ের বিরুদ্ধেও খুব আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলেছিলাম। সেই ম্যাচ থেকেও তিন পয়েন্ট পাওয়া উচিত ছিল আমাদেরই। কিন্তু খুব অল্পের জন্য সেটা হাতছাড়া হয়েছে। তবে এখন যা পরিস্থিতি তাতে পরের তিনটে ম্যাচ আমাদের জিততেই হবে। নয়তো সেমিফাইনালে পৌঁছতে পারব না। তাই পরের ম্যাচগুলোতে ড্র করার কোনও প্রশ্নই নেই। মরণ-বাঁচন লড়াইয়ে আমাদের শুধু জেতাই লক্ষ্য।
(গেমপ্ল্যান)