টেনিস কেরিয়ারে আরও একটা মাইলফলক ছুঁলেন সানিয়া মির্জা। দেশের প্রথম মহিলা টেনিস প্লেয়ার হিসেবে উইম্বলডনে শীর্ষ বাছাইয়ের নজির গড়লেন হায়দরাবাদের টেনিস তারকা। দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে নামার আগে যা নিয়ে উচ্ছ্বসিত সানিয়া বলেছেন, ‘‘টেনিসের আতুঁড়ঘর বলা হয় যে টুর্নামেন্টকে, সেখানে শীর্ষ বাছাই হওয়াটা বিরাট সম্মানের।’’
শুধু শীর্ষ বাছাই হিসেবে নামাই নয়, দাপটে এ বারের অভিযান শুরুও করেছেন সানিয়া ও তাঁর সঙ্গী মার্টিনা হিঙ্গিস। প্রথম রাউন্ডে তাঁরা ৬-২, ৬-২ জিতে দ্বিতীয় রাউন্ডে কিমিকো দাতে ক্রাম-ফ্রান্সেসকা শিয়াভোনেকে উড়িয়ে দিলেন ৬-০, ৬-১।
২৮ বছরের সানিয়া এই নিয়ে ১৫ বছর উইম্বলডনে অংশ নিচ্ছেন। আর শুধু উইম্বলডনেই নয়, যে কোনও গ্র্যান্ড স্ল্যামের ক্ষেত্রেই প্রথম ভারতীয় মহিলা টেনিস প্লেয়ার হিসেবে এই রেকর্ড গড়লেন সানিয়া।এর আগে ভারতীয় প্লেয়ার হিসেবে কোনও গ্র্যান্ড স্ল্যামে শীর্ষ বাছাইয়ের নজির রয়েছে শুধু ডাবলসে লিয়েন্ডার পেজ আর মহেশ ভূপতির। ১৯৯৯ ফরাসি ওপেনে। উইম্বলডনেই সানিয়া কেরিয়ারে প্রথম বড় সাফল্যও পান। ২০০৩-এ গার্লস ডাবলসে চ্যাম্পিয়ন হয়ে। সঙ্গী ছিলেন অ্যালিসা ক্লেবানোভা।
পাশাপাশি শীর্ষবাছাই হওয়ায় সানিয়া এ বার উইম্বলডনের এলিট ‘লাস্ট ফোর ক্লাব’-এর সদস্যপদও পেলেন। যার সুবাদে আজীবন উইম্বলডনে বিশেষ সুযোগ-সুবিধাও পাবেন হায়দরাবাদের তারকা। যার মধ্যে রয়েছে বিশেষ লকার ব্যবহার করাও। সানিয়ার বাবা ইমরান মির্জা মনে করেন মেয়ের এই সাফল্য সর্বোচ্চ পর্যায়ের টেনিসে ধারাবাহিক ভাবে ভাল পারফরম্যান্স করার ফল। সঙ্গে তিনি যোগ করেছেন, ‘‘যত বারই এখানে আসি না কেন, সব সময় আলাদা একটা উত্তেজনা থাকে উইম্বলডনে। প্রচুর ভাল স্মৃতি রয়েছে বিগ ডব্লু ঘিরে।’’
তিন বারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম চ্যাম্পিয়ন সানিয়ার কাছে এ বারের উইম্বলডনে আর একটা মিশনও আছে। কেরিয়ার গ্র্যান্ড স্ল্যামে পৌঁছনোর। অস্ট্রেলিয়ান ওপেন, ফরাসি ওপেন আর যুক্তরাষ্ট্র ওপেন জিতলেও উইম্বলডন না জেতায় যা এখনও অধরা। সানিয়া বলেছেন, ‘‘ছোটবেলায় উইম্বলডনে খেলার স্বপ্ন সবার থাকে। গুরুত্বের দিক থেকে সব গ্র্যান্ড স্ল্যামই এক। তা হলেও উইম্বলডনের ব্যাপার আলাদা। স্পেশ্যাল। সবুজ ঘাস, সাদা পোশাক, স্ট্রবেরি আর ক্রিমের জন্য আলাদা একটা আকর্ষণ রয়েছে। আমি ধন্য এ রকম একটা জায়গায় খেলার সুযোগ পেয়ে আর পারফর্ম করে।’’