হারা ফাইনালও জিতে সান্টিনা ১১

ক্যারোলিন গার্সিয়া আর ক্রিস্টিনা মাডেনোভিচ। দুই ফরাসি মেয়েই পেশাদার ট্যুরে নামী সিঙ্গলস তারকা হিসেবে পরিচিত। সম্ভবত সামনের সোমবার শুরু অস্ট্রেলিয়ান ওপেন মাথায় রেখে প্রস্তুতি হিসেবে এ সপ্তাহেই প্রথম ডাবলসে জুটি বেঁধেছিলেন সিডনি ইন্টারন্যাশনালে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০১৬ ০৪:০০
Share:

জয় আর ট্রফির দৌড় চলছেই। সিডনিতে শুক্রবার। ছবি: গেটি ইমেজেস

ক্যারোলিন গার্সিয়া আর ক্রিস্টিনা মাডেনোভিচ। দুই ফরাসি মেয়েই পেশাদার ট্যুরে নামী সিঙ্গলস তারকা হিসেবে পরিচিত। সম্ভবত সামনের সোমবার শুরু অস্ট্রেলিয়ান ওপেন মাথায় রেখে প্রস্তুতি হিসেবে এ সপ্তাহেই প্রথম ডাবলসে জুটি বেঁধেছিলেন সিডনি ইন্টারন্যাশনালে। কিন্তু টেনিসের ঐতিহাসিক সত্য— সিঙ্গলস প্লেয়ার ডাবলসে নামলে হয় সমান অথবা আরও যেন ভয়ঙ্কর! সিডনিতে সে রকমই তৃতীয় বাছাই গার্সিয়া-মাডেনোভিচ ফাইনালে গত ছয় মাস স্বপ্নের দৌড়ে থাকা সানিয়া মির্জা-মার্টিনা হিঙ্গিসের বিরুদ্ধেও এ দিন ৬-১, ৫-২ এগিয়ে বিশ্বসেরা ইন্দো-সুইস জুটির আকাশ থেকে মাটিতে আছড়ে পড়া প্রায় পাকা করে দিয়েছিলেন।

Advertisement

কিন্তু সান্টিনা কেন সান্টিনা, কেন টানা ৩০ ম্যাচ অপরাজিত— সেটা টের পেল রড লেভারের দেশ। আরও স্পষ্ট ভাবে বললে সিডনির কেন রোজওয়াল এরিনা।

‘‘১-৬, ২-৫ অবস্থায় আমরা একে অন্যকে একমাত্র যে কথাটা বলতে পারতাম সেটাই কোর্টে বলেছিলাম— একটামাত্র ব্রেকের ব্যাপার তো!’’ ফরাসি প্রতিদ্বন্দ্বীকে সওয়া এক ঘণ্টার মরণপণ সংগ্রামে ১-৬, ৭-৫, ১০-৫ হারিয়ে উঠে এ দিন বলেন সানিয়া। তার পরে আরও যোগ করেন বিশ্বের এক নম্বর ভারতীয় ডাবলস তারকা, ‘‘ও রকম পরিস্থিতিতে আপনার পক্ষে একমাত্র ইতিবাচক ভাবনা সেটাই হতে পারত। তো ওই সময় আমরা প্রথমে ৫-৩ করতে নিজেদের সার্ভ ধরে রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা করলাম। যাতে ম্যাচে উঠে দাঁড়ানোর আরও একটা সুযোগ নিজেদেরকে দিতে পারি। পারলামও। তার পরে ৫-৩-এ দ্বিতীয় সেটের সেই বিরাট গেমটা! ওখান থেকেই ছন্দটা ওদের হাত থেকে পুরোপুরি আমাদের হাতে এসে গেল।’’

Advertisement

২০১৫-’১৬ ধরে সান্টিনার ট্রফি ক্যাবিনেটে এই মুহূর্তে খেতাব একাদশ। গত মরসুমের ন’টার পর এ বছরের প্রথম দু’টো টুর্নামেন্টেই চ্যাম্পিয়ন সানিয়া-মার্টিনা। মেলবোর্নে মরসুমের প্রথম গ্র্যান্ড স্লামের প্রস্তুতি এর চেয়ে ভাল আর কিছু হওয়া হয়তো সম্ভব ছিল না টেনিসের সুন্দরী জুটির পক্ষে। হিঙ্গিসও ফাইনাল শেষে স্বীকার করেন, ‘‘অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের আগে এ দিনের ফাইনাল নিশ্চিত ভাবে দুর্দান্ত কড়া একটা পরীক্ষা নিল আমাদের। অন্ধকার সুড়ঙ্গের মধ্যে খুব বেশি আলো দেখতে পাচ্ছিলাম না। কিন্তু এ দিক-ও দিক থেকে যে একটা-দু’টো সুযোগ আমাদের কাছে এসেছিল সেগুলোই কাজে লাগিয়ে ছবিটা পুরো উল্টে দিতে পারায় আরও যেন বেশি আনন্দ হচ্ছে।’’

মার্টিনার জন্য আরও সুখবর— আগামী সোমবার ডব্লিউটিএ-র নতুন ডাবলস বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে সানিয়ার সঙ্গে তিনিও যুগ্ম এক নম্বর হবেন। আর সান্টিনা জুটি তো গত ছয় মাস ধরেই একে। ‘‘সানিয়া গত এপ্রিলে যখন এক নম্বর হয়েছিল সেটা ওর জন্য বিরাট মাইলস্টোন ছিল। এ বার আমার পালা। ষোলো বছর পর আবার ডাবলসে এক নম্বর হতে পারাটা একটা আলাদা অনুভূতি। তবে আমাদের জুটি তো অনেক দিন ধরেই এক নম্বর।’’ মার্টিনার বলা শেষ হতেই পাশে দাঁড়ানো সানিয়ার এক শব্দের সংযোজন— ‘‘ডিটো!’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement