ইডেনে শামি। শনিবার।
তাঁর হাতে ‘ওয়াকিং এড’ দেখে চমকে ইশান্ত শর্মা বলে উঠলেন, ‘তেরা ইয়ে কেয়া হাল হ্যায় ভাই!’ শনিবার বিকেলে মহম্মদ শামি ভারতীয় ক্রিকেট দলের বলয়ে ঢোকামাত্র এমনই প্রতিক্রিয়া তাঁর সতীর্থদের।
অন্তত এক মাসের বিশ্রাম নিতে বলেছেন ডাক্তাররা। বিশ্বকাপে চোট পাওয়া বাঁ হাঁটুর অস্ত্রোপচার হয়েছে গত মাসে। আইপিএলও খেলা হয়নি। তার পর থেকেই বিছানায়। এখন কলকাতার ফ্ল্যাটে হালকা চলাফেরা করলেও মাঠে নামতে না পেরে ছটফট করছেন। শনিবার টিম ইন্ডিয়া ইডেনে প্র্যাকটিস করছেন শুনে এসেছিলেন সতীর্থদের সঙ্গে দেখা করতে। ইডেন ছাড়ার পথে বললেন, ‘‘আর বাড়িতে বসে থাকতে ভাল লাগছে না। তাই ভাবলাম, সতীর্থরা এসেছে শহরে, একবার দেখা করেই আসি।’’ ভারতীয় দলের ড্রেসিংরুমে থাকা এক সিএবি কর্তার বর্ণনা, শামিকে দেখা মাত্র ক্রিকেটাররা তাঁর দিকে এগিয়ে আসেন। ইশান্ত তাঁকে দেখে বিস্ময়ও প্রকাশ করেন। অজিঙ্ক রাহানের জন্মদিনের কেক কাটার সময় তিনি ছিলেন ইডেনের ড্রেসিংরুমে। রাহানেকে শুভেচ্ছাও জানান।
ইডেন থেকে বেরনোর সময় ভারতীয় দলের পেসার বলেন, ‘‘মনে হচ্ছে আরও দেড় মাস লাগবে মাঠে নামতে।’’ অগস্টে শ্রীলঙ্কা সফর ভারতীয় দলের। সেই সফরে যেতে পারবেন দলের সঙ্গে? বললেন, ‘‘জানি না পারব কি না। তবে ওটাই আপাতত লক্ষ্য। না হলে অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে হয়তো খেলতে পারি। এখনও ঠিক জানি না। তবে এখনই বাড়িতে বসে থেকে হাঁফিয়ে উঠেছি।’’
বাড়িতে ‘টাইম পাস’-এর জন্য বাবা-মাকেও দেশের বাড়ি থেকে আনিয়ে নিয়েছেন। বললেন, ‘‘পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে দিব্যি কেটে যাচ্ছে দিনগুলো।’’ তবে তাঁর মন পড়ে মাঠে। বললেন, ‘‘স্বপ্নে মাঝে মাঝে দেখি, গ্যালারি ভর্তি দর্শকের সামনে বল করার জন্য দৌড়চ্ছি।’’