ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে এ ভাবেই খেপিয়ে যান প্লিজ! শনিবারের হ্যাটট্রিকের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায় কাকুতি মিনতি পর্তুগাল সমর্থকদের।
ঘটনাটা কী? শনিবার ইউরো কোয়ালিফায়ারে পর্তুগাল অধিনায়ককে গোলের সেলিব্রেশনে কানের পিছনে হাত দিয়ে বিশেষ ভঙ্গিতে দেখা যায়। তাও একবার নয়, একাধিক বার। প্রশ্ন ওঠে হঠাৎ এ ভাবেই গোলের উৎসবে মাতলেন কেন রোনাল্ডো? রহস্যটা ফাঁস হয় ম্যাচের পর।
জানা যায় রোনাল্ডোকে উত্যক্ত করতে আর্মেনিয়ার সমর্থকরা বিশেষ কৌশল নিয়েছিলেন। ম্যাচ চলাকালীনই ‘মেসি মেসি মেসি’ চিৎকার। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর নাম শুনেই যাতে মনঃসংযোগে চিড় ধরে রিয়াল মাদ্রিদের মহাতারকার। কিন্তু সেই সাধের প্ল্যান যে এ ভাবে বুমেরাং হয়ে যাবে কে জানত!
মনঃসংযোগে ব্যাঘাত তো দূরের কথা, মেসির নাম শুনেই বোধহয় ‘রিয়াল রকেট’ উল্টে জ্বলে ওঠেন। টানা তৃতীয় হ্যাটট্রিকে দলকে জেতান। মরসুমে যা তাঁর নবম হ্যাটট্রিকও। অবিশ্বাস্য ফর্মে থাকলেও এ মরসুমে রিয়ালকে ট্রফি না দেওয়া ব্যর্থতায় রোনাল্ডোর হতাশা কম ছিল না। ইউরোপ সেরার ট্রফি জেতা থেকে তো বটেই সঙ্গে ঘরোয়া লিগেও বার্সেলোনার ট্রফি জেতা থেকে আটকাতে না পারার হতাশাও ছিল। সব মিলিয়ে ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি যেন হঠাৎ ফেটে পড়ে ‘মেসি’ চিৎকার শুনতেই। তাই গোলের পর আর্মেনিয়ার সেই সমর্থকদের উদ্দেশেই হয়তো তাঁর বিশেষ ভঙ্গিতে জানতে চাওয়া, ‘সাহস থাকলে আবার মেসি, মেসি চিৎকারটা করো তো দেখি’! ম্যাচের পর সিআর সেভেন লেখেন, ‘অসাধারণ রাত। ইউরোয় যোগ্যতা পাওয়ার দিকে বড় পদক্ষেপ।’